ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান সরকার দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে মধ্য বা দীর্ঘমেয়াদি সংষ্কারের চেয়ে স্বল্পমেয়াদি সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ভবনে পিকেএসএফ দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা সংস্কারের চেষ্টা করছি, তবে তা হবে স্বল্পমেয়াদি; মধ্যমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি নয়। আমরা একটি ফুটপ্রিন্ট রেখে যাচ্ছি, যেটার ওপর দিয়ে পরবর্তী সরকার হাঁটবে।’
‘আমরা নিশ্চিত যে নির্বাচিত সরকার আমাদের পদচিহ্ন এড়াতে পারবে না, কারণ আমরা যা কিছু করছি তা জনগণের কল্যাণের জন্য। জনগণই এ পথ অনুসরণ করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।’
‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য অর্থায়ন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে পিকেএসএফ।
অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার নির্বাচিত সরকারের এখতিয়ার হওয়া উচিত। নির্বাচিত সরকারের অনুপস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এ ধরনের সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ সমীচীন নয়।
বর্তমান সরকার তার কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিদেশি ও দ্বিপাক্ষিক সংস্থা সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। আমাদের ক্যাপাসিটি আছে, সৃজনশীলতা আছে। আমরা এগিয়ে যাব।’
স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অনেক সুউচ্চ ভবন-অবকাঠামো থাকলেও দেশে ভালো প্রতিষ্ঠানের অভাব রয়েছে। সততার অভাব রয়েছে। প্রতিষ্ঠান ভালো না হলে, যতই প্রজেক্ট করা হোক না কেন, সেটার বাস্তবায়ন হয় না।’
পিকেএসএফকে একটি বিশ্বমানের সংস্থা উল্লেখ করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শুধু ঋণ দেওয়া নয়, প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্নত করতেও কাজ করেছে পিকেএসএফ। এর গ্রহণযোগ্যতা দাতা সংস্থাগুলোর কাছে অনেক বেশি।’
পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বদিউর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের।
১৯৮৯ সালের ১৩ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত পিকেএসএফ দেশব্যাপী ২০০টিরও বেশি সহযোগী সংস্থাকে (পিও) ঋণযোগ্য তহবিল সরবরাহ করে থাকে। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত পিকেএসএফের সহযোগী সংস্থাগুলোর সদস্য সংখ্যা সম্মিলিতভাবে ২ কোটি যার ৯২ শতাংশই নারী। বর্তমানে ফাউন্ডেশনের মোট ঋণগ্রহীতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখ যার মধ্যে ৯২ দশমিক ৭৬ শতাংশই নারী।
মেসেঞ্জার/ফামিমা