ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

চাল আলু পেঁয়াজ ও সবজিসহ বেশির ভাগ পণ্যের দাম কমেছে

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চাল আলু পেঁয়াজ ও সবজিসহ বেশির ভাগ পণ্যের দাম কমেছে

ছবি : সংগৃহীত

কিছুটা স্বস্তি ফিরছে বাজারে। সবজি, চাল, আটা, ছোলা, আলু, পেঁয়াজসহ বেশির ভাগ পণ্যের দর আগের সপ্তাহের চেয়ে কমেছে। যদিও কয়েকটি পণ্যের দর ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় এখনও বেশি। অন্যদিকে বাজারে স্বল্প পরিমাণে আসতে শুরু করেছে বাড়তি দরের বোতলজাত সয়াবিন তেল।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিকে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকার কয়েকটি পণ্য আমদানিতে শুল্ক কর ছাড় দেওয়ার কারণে পণ্যের আমদানি বেড়েছে। এতে সরবরাহ বাড়ছে বাজারে, যা পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখছে ইতিবাচক ভূমিকা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার মহাখালী কাঁচাবাজার, তেজগাঁও কলোনি বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। 

বছরজুড়ে চালের বাজার ছিল বেশ চড়া। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দর আরও বেড়ে যায়। এখন কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বাজারে সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয় মাঝারি চাল (বিআর-২৮ ও পায়জাম)। বৃহস্পতিবার এ ধরনের চালের কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৭ থেকে ৬০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।

আগের সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৩ টাকা কমে মোটা চাল (চায়না ইরি ও গুটি স্বর্ণা) বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। এ ছাড়া সরু চালের (মিনিকেট) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। ছয়-সাত দিন আগে এ ধরনের চাল কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।

কারওয়ান বাজারের নোয়াখালী রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. শাওন বলেন, বাজারে নতুন চাল ঢোকায় দাম কমছে। তবে আমদানি করা চাল বাজারে আসেনি। তবে শুল্ক কর কমানোর কারণে কিছুটা প্রভাব পড়েছে দামে।

আগের সপ্তাহের চেয়ে ছোলা কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। খোলা ও প্যাকেট আটার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এক মাসে আটার দর না কমলেও এক বছরের চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। বাজারে নতুন দরের বোতলজাত তেল এসেছে। তবে বড় বাজারে সরবরাহ বাড়লেও ছোট বাজারে তেল কিছুটা কম।

পেঁয়াজের দর বেশ কমেছে। এক-দেড় মাস আগে দেশি ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। কেজিতে ৪০ টাকার মতো কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১০৪ থেকে ১১০ টাকা। দেশি হাইব্রিড পেঁয়াজের কেজিতে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা আর আমদানি পেঁয়াজের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।

এ ধরনের পেঁয়াজের কেজি দেড় মাস আগে ছিল প্রায় ১০০ টাকা। ২০২৩ সালের এ সময় দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ছিল ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। সেই হিসাবে অর্ধেকের বেশি কমেছে দর। নতুন পেঁয়াজ ওঠা শুরু হলে দর আরও কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 

শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে দাম। গড়ে সবজির কেজি কেনা যাচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, সপ্তাহ দুয়েক আগে কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। মুলার কেজি ৪০ থেকে নেমেছে ২০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি শালগম ৪০ থেকে ৫০ এবং বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের সপ্তাহে সবজি দুটির দর ছিল ৬০ ও ৮০ টাকার আশপাশে।

মেসেঞ্জার/তারেক