ছবি : মেসেঞ্জার
ইউনিভার্সিটি অব মিয়াজাকি ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) সহযোগিতায় বি-জেট ও বি-মিট প্রোগ্রামের সমাপনী প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। অনুষ্ঠানে জাপানি ভাষাসহ প্রয়োজনীয় দক্ষতায় আইসিটি পেশাজীবীদের দক্ষ করে তোলা ও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এ দুই প্রোগ্রামের সাফল্য উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানটি গতকাল (১৭ ডিসেম্বর) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হলে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সাথে জাইকার কারিগরি সহযোগিতার আওতায় ২০১৭ সালে বিজেট প্রোগ্রাম (বাংলাদেশ-জাপান আইসিটি ইঞ্জিনিয়ার্স ট্রেইনিং প্রোগ্রাম) চালু হয়। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ আইসিটি বিষয়ক প্রকৌশলীদের জাপানি ভাষা, সংস্কৃতি ও ব্যবসায়িক আচরণবিধি নিয়ে আট মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ প্রশিক্ষণ তাদেরকে জাপানের প্রতিযোগিতামূলক আইসিটি খাতে দক্ষতা অর্জনে প্রস্তুত করে তুলতে ভূমিকা রাখে। এ পর্যন্ত ২৪০ জনেরও বেশি বিজেট গ্র্যাজুয়েট সফলভাবে জাপানে তাদের কর্মজীবন শুরু করেছেন, যা দেশটির আইসিটি বিষয়ক প্রকৌশলীদের সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখছে।
অন্যদিকে, বি-মিট প্রোগ্রাম (বাংলাদেশ-মিয়াজাকি আইসিটি ইঞ্জিনিয়ার্স এডুকেশনাল ট্রেইনিং প্রজেক্ট) ২০২২ সালে জাইকার কারিগরি সহযোগিতার আওতায় শুরু হয়। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জাপানি ভাষা, সংস্কৃতি এবং ব্যবসায়িক আচরণবিধি বিষয়ে এক মাসের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ভবিষ্যতে যারা জাপানি আইসিটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে আগ্রহী, তাদের লক্ষ্য অর্জনে এ প্রশিক্ষণ বিশেষ ভূমিকা রাখে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩শ’ জন এই প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছেন।
সমাপনী প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এই দুই প্রোগ্রামের বর্তমান পর্বের সমাপনী উদযাপন করা হয়। এ নিয়ে জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, “বিজেট এবং বি-মিট প্রোগ্রাম বাংলাদেশ ও জাপানের দৃঢ় অংশীদারিত্বের প্রতীক। মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনকে গভীরতর করার মাধ্যমে এই উদ্যোগগুলো বাংলাদেশের আইসিটি প্রকৌশলীদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে এবং জাপানের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতেও অবদান রাখবে। বৈশ্বিকভাবে তরুণদের দক্ষতার উন্নয়নে ও যৌথ সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রোগ্রামগুলোর ভূমিকা নিয়ে আমরা গর্বিত।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. ইওয়ামা কিমিনোরি; জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে; মিয়াজাকি সিটির ভাইস মেয়র নাগায়ামা হিদেনারি; নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরী; ইউনিভার্সিটি অব মিয়াজাকির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়োশিনারি ইয়াসুয়েসহ সম্মানিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
এ দুই প্রোগ্রাম ও প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে সহযোগী সংস্থাগুলো, যা সম্মিলিতভাবে ‘মিয়াজাকি-বাংলাদেশ মডেল’ নামে পরিচিত, বাংলাদেশ ও জাপানে মানবসম্পদ উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য এ বছর জাইকার ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।
মেসেঞ্জার/তুষার