![ফের কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাবির শিক্ষার্থীরা ফের কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাবির শিক্ষার্থীরা](https://www.dailymessenger.net/media/imgAll/2024February/২-2407030943.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
সরকারি চাকুরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এরপর মিছিল নিয়ে কোলা ভবন, টিএসসি, হাইকোর্ট, মৎসভবন হয়ে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন তারা।
হাজার হাজার শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘কোটা না মেধা?’ ‘মেধা মেধা, হাইকোর্টের রায় মানি না মানবো না', 'কোটা বাতিল করো, বাতিল করো', আপোস না সংগ্রাম 'ছাত্রসমাজ গড়বে দেশ, মেধা যার চাকরি তার। মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ' 'মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই', কোটা প্রথা নিপাত যাক, 'মেধাবীরা মুক্তি পাক', ৭১'র হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, ১৮'র পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে, এমন স্লোগান দেন তারা।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ফারাবি আলম বলেন, ' মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা কোটার জন্য যুদ্ধ করে নাই। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে বলতে চাই, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা কখনই যৌক্তিক হতে পারে না। আমি অবিলম্বে এ রায় বাতিল চাই।
এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি খোলার দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিসের সামনে যান। উল্লেখ্য, সর্বজনীন পেনশন বাতিলের দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা- কর্মচারী দের কর্মবিরতিতে সোমবার (১ জুলাই) থেকে বন্ধ রয়েছে ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৫জুন সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঐদিন সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। এ আন্দোলন এখনো চলমান রয়েছে।
কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার ফলে এখন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ দেওয়ায় আর কোনো বাধা নেই। কোটা বাতিলের পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। এর আগে ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর সরকারি চাকরিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ কোটা তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর মন্ত্রীসভায় এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
মেসেঞ্জার/মুমু