![কোটার পক্ষে মাঠে নামলো মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীরা কোটার পক্ষে মাঠে নামলো মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীরা](https://www.dailymessenger.net/media/imgAll/2024February/Untitled-7-2407031113.jpg)
ছবি : মেসেঞ্জার
মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে অপপ্রচার এবং অবমাননার প্রতিবাদ জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বুধবার (৩ জুলাই) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ প্রতিবাদ জানায় তারা।
এ সময় তারা 'মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী অপশক্তিরা নিপাত যাক', 'দেশ স্বাধীন করলো যারা কেন অপমানিত হবে তারা', 'কোটা ব্যবস্থা বৈষম্য সৃষ্টি করে না বরং সমতা সৃষ্টি করে', 'কোটা আন্দোলনের নামে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে নিয়ে ট্রল করা যাবে না' প্রভৃতি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম রাবি শাখার সহ-সভাপতি মাহফুজ বলেন, বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে নিয়ে যে কটাক্ষ করা হচ্ছে সেটি সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থী।
আপনারা যারা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্মকে মেধাশূন্য বলে এবং নিজেদের মেধাবী বলে দাবি করছেন, আপনাদের এই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য দেখলে বোঝা যায় আপনারা কতটা নির্লজ্জ জাতি। আপনারা যারা তথাকথিত মেধাবী, যারা কোটা বিরোধী আন্দোলন করছেন তারা আগে কোটার ইতিহাস সম্পর্কে জানুন। আসলেই স্বাধীনতার ৫২ বছরে কোটা কত দিন বহাল ছিল।
মানবন্ধনে অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড রাজশাহী মহানগরের আহ্বয়ক আলিমুল হাসান সজল বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যখন রাস্তায় দাড়িয়েছে এটা জাতির লজ্জা। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা রাজপথে দাঁড়িয়ে আছি। এমনতো কথা ছিল না। আপনারা যদি কৃতজ্ঞ হতেন তবে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাত কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র দেড় লক্ষ বা ততোধিক মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন তাদের দায়িত্ব নিতেন।
১৯৭১ সালের পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সরকার প্রধান মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্মদের বঞ্চিত করে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি, রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ওই রাজাকারদের এমপি, মন্ত্রীদের তালিকা নিয়ে নিয়োগ দান করেছেন। তারা কী মেধাবী ছিলো?
তিনি আরো বলেন, আপনারা শুধু মুক্তিযোদ্ধার কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী কথা বলেন। তার মানে আপনারা মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী। আপনারা যদি মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী না হতেন তাহলে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটা স্থগিত হলে আপনাদের আন্দোলন বন্ধ হতো না। সকল ধরণের কোটা বাতিলের দাবি জানাতেন। আপনারা তখন দাবি জানাননি। তার মানেই প্রমাণিত হয় আপনারা মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী।
কর্মসূচিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম রাবি শাখার সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান সঞ্চালনা করেন। এসময় কর্মসূচিতে অর্ধ-শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম উপস্থিত ছিলেন।
মেসেঞ্জার/কাদির/আপেল