ছবি : মেসেঞ্জার
অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত সর্বজনীন পেনশনের ‘বৈষম্যমূলক’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রণীত আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতির পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিল করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কর্মচারীরা।
রোববার (১৪ জুলাই) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে পাহাড়তলী বাজার প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।
মিছিল শেষে কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রায় এক ঘন্টা যাবৎ চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় পেনশন স্কীম ও আপগ্রেডেশন নীতিমালার পাশাপাশি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ঘোষিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্বতন্ত্র পে স্কেল অনুসরণ করে দ্রুত নবম পে স্কেল প্রদানের দাবি জানান তারা।
চুয়েট স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দীন বলেন, শিক্ষকদের সাথে আলোচনা হলেও আমাদের সাথে এখন পর্যন্ত সরকারের আলোচনা হয়নি। আমরা আমাদের দাবী আদায়ে অনড়। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। প্রয়োজনে সকল বিভাগের তালা বন্ধ রাখা হবে, হলের ডাইনিং, বিদুৎ, পানি সব বন্ধ করে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এর বিরুদ্ধে সরব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
সেখানে বলা হয়, চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের পর থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরিতে যাঁরা নতুন যোগ দেবেন, তাঁরা বিদ্যমান ব্যবস্থার মতো আর অবসরোত্তর পেনশন-সুবিধা পাবেন না। তার পরিবর্তে নতুন চাকরিজীবীদের বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে।
এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত কয়েকদিন যাবৎ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
মেসেঞ্জার/রাফিন/আপেল