ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মহসিন হলে তৃতীয় বর্ষের (২১-২২) শিক্ষার্থীকে রুম থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই হলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার (১৩ জুলাই) রাত ১ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত রুম তালাবদ্ধ রাখা হয়।
এদিকে, উক্ত তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গালাগালি ও জুতাপেটা করার অভিযোগ দিয়েছেন একই হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে তৃতীয় বর্ষের এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, 'আমাদের রুম সাফলকে কেন্দ্র করে ইমিডিয়েট সিনিয়ররা আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় মা-বাবা তুলে গালিগালাজ করে এবং রাত ১টায় আমাদের রুম বন্ধ করে দেয়। রুম নাম্বার ই ৪ এবং ৪৩৮।
ভোর রাতের দিকে সিনিয়রদের রুমের সামনে গিয়েও দাড়িয়ে ছিলাম এক ঘন্টা, তারপরও চাবি দেয়নি। প্রায় ১৬ ঘণ্টা রুম বন্ধ করে রাখা হয়।'
চতুর্থ বর্ষের ফারহান সাদিক প্লাবন, মুহম্মদ ফিরোজ, শাহরিয়ার সোহাগ, আইমান সাবিক জিতু, মিজানুর রহমান এবং রাইসি ইবনে শাখাওয়াত এ ঘটনায় যুক্ত ছিলেন বলে যানা যায়।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ফারহান সাদিক পল্লব বলেন, 'আমাদের হলে বছরে একবার রুম সাফল হয়। জুনিয়রদের আগেই রুম শিফটের ব্যাপারে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা তিনদিন হয়ে গেলেও রুম সিফট করেনি। তখন, ক্যান্ডিডেট মাহবুব ভাই আমাদের রুমে তালা মারার ব্যাপারে বলেন। তারপর আমরা তালা মারি।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, 'বৃহস্পতিবার গেস্টরুমে না যাওয়ায় তৃতীয় বর্ষের হাসিব উর রহমান ও আলাউদ্দিন আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এক পর্যায়ে হাসিব আমাকে পায়ের জুতা নিয়ে পেটাতে আসে।'
হাসিব উর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ ও আলাউদ্দিন জাপানিজ ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে, মুহসিন হল ছাত্রলীগের পদপ্রার্থী আইনুল ইসলাম মাহবুব বলেন, 'ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। জেনে জানাচ্ছি।
আরেক পদপ্রার্থী এম আর জিহাদ বলেন, 'জুনিয়ররা জানিয়েছিল এমন ঘটনার বিষয়ে। তবে, ততক্ষণে রুমের তালা খুলে দিয়েছিল।
মেসেঞ্জার/নকীব/আপেল