ছবি : মেসেঞ্জার
পাবনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ এবং ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮-১০ জন শিক্ষার্থীকে পুলিশ আটক করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে আড়াইটার দিকে পাবনা বাস টার্মিনাল এলাকায় পুলিশ আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ এলাকায় ছাত্রলীগের সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরবর্তীতে কাল সাড়ে এগারোটার দিকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা শোডাউন দিতে দিতে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের দিকে যান। এরপর তারা আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দিকে ফিরে আসেন।
দুপুর দুইটার দিকে পাবনা শহর থেকে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এসে মিলিত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা পাবনা বাস টার্মিনালের দিকে আগাতে থাকে।
এরপর টার্মিনালে এসে শিক্ষার্থীদের পুলিশ থামাতে চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এরপরই পুলিশ আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, ফাঁকা ছোড়ে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। দীর্ঘ এক ঘন্টা ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনেন পুলিশ।
এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন এবং ৮-১০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করেছেন পুলিশ।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ডিগ্রি বটতলা মোড়ে প্রথমে ছাত্রলীগের সাথে কোটা আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের ৫ টি মোটরসাইকলে ভাংচুর করেছে।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম বলেন, 'সকাল থেকে আমরা অত্যাধিক ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে এই বিক্ষাভ নিয়ন্ত্রণে রাখি।
দুপুর আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রথমে আমাদের ওপর হামলা হয়। পরে আমরা আত্মরক্ষার জন্য টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, সাইন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।'
মেসেঞ্জার/মামুন/আপেল