ছবিঃ মেসেঞ্জার
দেশব্যাপী বন্যার্ত মানুষের সহযোগিতায় ত্রাণ উত্তোলন ও ক্রাউড ফান্ডিং চলাকালিন উত্তোলনকৃত টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্দান হাউজিং সংলগ্ন চাররাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ছিনতাইকারীদের চাপাতির আঘাতে মো. জুয়েল রানা নামের এক শিক্ষার্থী মাথায় গুরুতর আঘাত পান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পাশ্ববর্তী ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানা যায়, শনিবার বানভাসী মানুষের জন্য ত্রাণ উত্তোলন ও ক্রাউড ফান্ডিং শেষে টাকা নিয়ে ফিরছিলেন জুয়েল রানা। এসময় আচমকা কয়েকজন কিশোর তাকে আক্রমণ করে এবং হাতে থাকা নগদ সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এতে বাধা দেওয়ায় চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি জুয়েলকে কোপাতে থাকে কিশোররা।
একপর্যায়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যায় সে। টাকা ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে জুয়েলকে রেখেই পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
জুয়েলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আক্রমণের খবর পেয়ে জুয়েলের বন্ধুরা তাকে উদ্বার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসে। বর্তমানে উক্ত হাসপাতালেই চিকিৎসারত আছেন জুয়েল।
জুয়েল রানা শ্যামলি আইডিয়াল কলেজের এইচএসসি ২০২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের খরচ চালানোর জন্য একটি বেসরকারী প্রতিষ্টানে চাকুরিরত আছেন তিনি।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, জুয়েল রানা বর্তমানে ওয়ার্ড বা কেবিন না পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের দোতলার বারান্দায় আছেন।
ছিনতাইয়ের ঘটনার বিষয়ে জুয়েল রানা মেসেঞ্জারকে বলেন, 'আমি কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তীতে শ্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের একনিষ্ঠ যোদ্ধা। আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বরতমানে বন্যারত মানুষের সহযোগীতার জন্য ত্রান উত্তোলন করছি। গতকাল আমি উত্তোলনকৃত অরথ নিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। আচমকা কয়েকজন আমাকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে।'
আক্রমণকারীদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'মোহাম্মদপুর এলাকায় অনেকগুলো কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। তারা মাদকসেবন ও ডিলিংয়ের সাথে জড়িত। গতকাল দুপুর থেকেই তারা আমাকে ফলো করছিলো এবং সুযোগ পেয়েই ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে।'
জুয়েল বলেন, আমি মানবতার সেবায় কাজ করছিলাম। অথচ আমাকেই আক্রমণের শিকার হতে হলো। সরকার ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দৃষ্টি আকরষণ করে তিনি বলেন, আমি চাইনা আর কোন ভাইকে এমন পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়। আমার উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার সাথে একটি কিশোর গ্যাং জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
জড়িত ব্যক্তিরা হলেন, শাওন ওরফে হিরোইন ব্যবসায়ী, মাদক ব্যবসায়ী আল আমিন , কাইল্লা বাদল, মো: রাজু, রাকিব ওরফে রাইকা, পারভেজ ওরফে ভাইগ্না পারভেজ, জুবায়ের , তুফান, মামুন, ভান্ডারি ইমন, দীদার।
মেসেঞ্জার/নকীব/সৌরভ