ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

শীঘ্রই শুরু হচ্ছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম

মাহমুদ নকীব, ঢাবি

প্রকাশিত: ১৮:৫৭, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ২০:৩৭, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শীঘ্রই শুরু হচ্ছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম

ছবি : মেসেঞ্জার

শীঘ্রই শুরু হচ্ছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান মেসেঞ্জারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। মূলত সিন্ডিকেট সদস্যদের অনুপস্থিতি ও উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান মেসেঞ্জারকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা আমার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার জন্য যে প্রস্তুতি প্রয়োজন তা নিয়ে রাখতে চাই। 

উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তাঁর বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে বলেন, 'ইতোমধ্যেই আপনারা দেখতে পেয়েছেন আমি বিভিন্ন হলের গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেছি। হল পর্বটি আমি শুক্রবারের মধ্যেই শেষ করতে চাই। হলগুলোর পর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ অনুয়ায়ী বিভাগগুলোতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করবো।'
 
মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে বলে উপাচার্য বলেন, সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সিদ্বান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছিল। সেজন্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করতে পারছি না। যদি এক্সিকিউটিভ অর্ডারে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করা হতো সেক্ষেত্রে আমি উপাচার্যের একজিকিউটিভ পাওয়ার ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারতাম।

সিন্ডিকেটের অনেক সদস্যই আওয়ামীলীগ সরকারের পদত্যাগের পর থেকে এভেইলেবল হবেন না, অনেকে পদত্যাগ করেছেন। তবুও, সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করতে হবে। এভেইলেবল সিন্ডিকেট সদস্যেদের মাধ্যমে সভার মাধ্যমে সিদ্বান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে জানান ঢাবি উপচার্য। 

তবে, সিন্ডিকেট সভা কবে হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, সিন্ডিকেট সভা আহ্বানের পূর্বে আমি বর্তমানে যে মতবিনিময় কার্যক্রম পরিচালনা করছি সেটি শেষ করতে চাই। আশা করি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সিন্ডিকেট সভার দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে পারবো।' এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম খুব শীঘ্রই শুরুর আশা নেই। 

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বুধবার (১৭ জুলাই) অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর উদ্ভূদ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩-এর আর্টিকেল ২৪ (এল) ধারার ক্ষমতাবলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। 

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষা আটকে আছে। এছাড়া, শ্রেণী কার্যক্রম চালু না থাকায় সেশন জটের সম্ভাবনা প্রকট হয়েছে। এমতাবস্থায়, শীগ্রই ক্লাসে ফেরার আশা করছেন শিক্ষার্থীরা।

মেসেঞ্জার/তারেক

×
Nagad