ছবি : মেসেঞ্জার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার সংরক্ষণের উদ্দেশ্য আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন সংগঠন হিউম্যান রাইটস সোসাইটি। কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের জুনায়েদ মাসুদ নির্বাচিত হয়েছেন।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় রাজধানীর পুরান ঢাকার ইউনিক রেস্টুরেন্ট এ ১৭ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সহ সভাপতি সোহাগ আহমেদ, খালিদ সাইফুল্লাহ, মো. রাসেল, তাওহীদুল ইসলাম, আইন বিভাগের মাহিমা আক্তার, স্বপন আহাম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কায়েস, অর্থ সম্পাদক আলী কাজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকিব হোসেন।
এছাড়া প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা সম্পাদক মো. মনির হোসেন, আইন সম্পাদক হাবিব মুহাম্মদ ফারুক, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আব্দুল্লাহ আল ফারুক, রাকিবুল ইসলাম।
সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, মানবাধিকার মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম। মানবাধিকার যতক্ষণ কার্যকর থাকে, গণতন্ত্র, সাম্য ও মানবিক মর্যাদা ততক্ষণ অব্যাহত থাকে। মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হলে ধীরে ধীরে একটা সমাজের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সেখান থেকে তৈরি হয় বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন।
যাদের গোপন ও প্রকাশ্য কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে তৈরি হয় অস্থিরতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলার পথেও আমাদের শিক্ষার্থীদের নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এসব কারণে মাঝেমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রীক নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যা রুখতে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে আমাদের এই সংগঠনের পথচলা। আমরা আশা করি আমাদের এই সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার সম্বলিত যে কোন সমস্যা সমাধানে সবার আগে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।
সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, মানবাধিকার রক্ষার প্রয়োজন উপলব্ধি থেকেই আমরা এই সংগঠন শুরু করেছি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সমূহে একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কাজ করেছে। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির প্রকোপে সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দলীয় শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভিক্টিম হয়েছে প্রতিনিয়ত।
লালফিতার দৌরাত্ম, প্রশাসনিক কাজে দূর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতা ফলে প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমরা ক্যাম্পাসের এই পরিবেশ পরিবর্তন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শুধু ক্যাম্পাসই নয়, আমরা আমাদের তৎপরতার মাধ্যমে ক্যাম্পাসের বাইরেও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট হবো। এজন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের একান্ত সহোযোগিতা কামনা করছি।
মেসেঞ্জার/ইমরান/তারেক