ছবি : মেসেঞ্জার
দিঘীনালা, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড়িদের উপর অত্যাচার, হামলা, দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক সাধারণ জনগণের উপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে শুক্রবার ২০ (সেপ্টেম্বর) হাদী চত্বরে মানববন্ধন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিকাল সাড়ে চারটার দিকে শুরু মানববন্ধনটির আয়োজন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী ছাত্র কল্যাণ সংস্থা। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা পোস্টারে লেখা ছিল, তোমাদের রক্ষা করে আমাদের কেন শোষণ করে, পাহাড়ে সামরিকায়ন বন্ধ কর, উপজাতি নয় আদিবাসী, উই আর নট এগেইনস্ট আর্মি বাট মিলিটারি রুল, স্টপ মিডিয়া কন্ট্রোল ইত্যাদি।পরে হাদি চত্বর থেকে শিববাড়ি যায়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, "বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রামের কয়েকটি দুর্বৃত্তচক্র সাম্প্রদায়িকভাবে হামলা চালাচ্ছে। গতকাল পার্বত্য চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলায় এমন জ্বালাওপোড়াও ও হামলা চালিয়েছে। ফলে শত শত মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়। এ ঘটনার মধ্যে দুইজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছে এর প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র-জনতা রাজপথে নামলে কোন আলাপচারিতা ছাড়াই সেনাবাহিনী মিছিলে গুলিবর্ষণ করে ফলে তিনজন নিহত হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর এ বিপ্লবকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ছাত্র-জনতা দেশের বিভিন্ন জায়গায় গ্রাফিতি অংকন করে। সব জায়গার ন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রামেও আমরা গ্রাফিতি অংকন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেনাবাহিনী আমাদের বাধা দেয়। আমরা আদিবাসীরা শুটকি খায়। শুটকি কেনার জন্য সেনাবাহিনীর পারমিশন লাগে। আমরা কোন ধরনের সেনা শাসন চাই না এবং মানি না। বাংলাদেশের অন্য সব সাধারণ নাগরিকের মত আমরাও স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই।"
মেসেঞ্জার/ফারুক/আজিজ