ছবি: মেসেঞ্জার
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ইনকিলাব সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কিক্রেট মাঠে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। যা চলে রাত প্রায় পৌনে দশটা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানকে ঘিরে ক্রিকেট মাঠে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ঢল নামে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় নাশীদ শিল্পী ও বাংলাদেশ বেতার টেলিভিশনের উপস্থাপক আব্দুর রহমান হুসাইনী, নাশিদ শিল্পী মাহমুদ হুজাইফা ও যশোরের তারার মেলা শিল্পী গোষ্ঠী। এ ছাড়া কাওয়ালী পরিবেশন করেন মেহফিল ইবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সেখানে হামদ, নাত ও জাগরনী সংগীত পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষক ও কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে আসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, সারাদিন কাজের মধ্যে ছিলাম। অনেকটা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তবে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আসার পর আমার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে। বাজনা বিহীন সংগীত এত চমৎকারভাবে তরঙ্গায়িত হয়েছে যা, মানুষের হৃদয়কে আকর্ষণ করেছে। স্বৈরাচার পতনের পর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাওয়ালী ও নাতে রাসূলের (সা:) যে অনুষ্ঠানগুলো হচ্ছে, সংগীত জগতের একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে।
এই ধারা অব্যাহত থাকলে ইসলামী সংগীত মানুষের হৃদয়ে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করবে। ইসলামী সংগীত হৃদয় ও মনের খোরাক জোগায়। পাশাপাশি ঈমানের দাবি পুরণের সহজশক্তি হিসেবে কাজ করে।
মেসেঞ্জার/রিয়াদ/আজিজ