ছবি : মেসেঞ্জার
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের রাজশাহী আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জীকে অপসারণের দাবিতে এবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় আঞ্চলিক শিক্ষা ভবনের সামনে ‘সাধারণ ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে স্থানীয় যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে ‘স্থানীয়’ পরিচয়ে একদল যুবক অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জীকে তার অফিস থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ ঘটনায় রাজশাহী মহানগর বিএনপি, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট ও রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোরাব আলী পারভেজকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিস্কার করে।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা সাংবাদিকদের জানান, মাউশির আঞ্চলিক পরিচালককে হুমকি ও অফিস থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ সুইট ও তোরাব আলীকে বহিষ্কার করা হয়।
পরদিন সুইট সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, মাউশির আঞ্চলিক পরিচালককে তার কার্যালয় থেকে বের করার ঘটনায় তিনি জড়িত নন, তবে তার সমর্থন ছিল। কিন্তু মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি তাকে অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে বহিষ্কার করেছে। যদিও বহিস্কারের এখতিয়ার তাদের নাই।’
এদিকে বুধবার মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেন সাবেক যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইটের অনুসারীরা। এতে সাবেক যুবদল নেতা আব্দুল কাদের, সাবেক ছাত্রদল নেতা তাকাবুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন। তাঁরা মাউশির আঞ্চলিক পরিচালক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জীসহ কয়েকজনকে দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে তাদের অপসারণের দাবি জানান।
তারা বলেন, আওয়ামী দুর্নীতিবাজেরা আঞ্চলিক শিক্ষাভবনে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপস করেননি বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মাউশির পরিচালক ও কর্মকর্তাদের দ্রুত অপসারণ না করলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
মাউশির আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী জানান, স্থানীয় যুবকদের চাপের মুখে তিনি বাধ্য হয়ে অফিস ছাড়লে তারা তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরদিন সেনাবাহিনী তালা ভেঙে অফিস খুলে দেয়।’
মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তারেক