ঢাকা,  রোববার
২০ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

পবিপ্রবির সৃজনী ব্রীজ সংলগ্ন খালের ময়লা অপসারণ, জনমনে স্বস্তি

পবিপ্রবি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১২:২৪, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

পবিপ্রবির সৃজনী ব্রীজ সংলগ্ন খালের ময়লা অপসারণ, জনমনে স্বস্তি

ছবি: মেসেঞ্জার

দুমকি উপজেলার মানুষের বহুল আকাঙ্খিত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) অধিভুক্ত সৃজনীবিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্রীজ সংলগ্ন পীরতলা বাজার খালের ময়লা অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ৯টায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। 

উল্লেখ্য, এই খাল দীর্ঘদিন যাবৎ ময়লা আবর্জনা ফেলে ময়লার স্তুপে পরিণত হয়। এ নিয়ে সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ করে। অবশেষে পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও উপজেলা প্রশাসন যৌথ উদ্যোগে ময়লা অপসরণের কাজ শুরু করে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শাহিন মাহমুদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান, প্রফেসর ড. মাহাবুব রাব্বানী, সৃজনীবিদ্যানিকেতনের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজহার আলী মৃধা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল আলম মৃধা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারী, পীরতলা বাজারের ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ময়লা অপসারণের কাজ শুরু করলাম। এই কার্যক্রম শেষ হলে এলাকার জনসাধারণ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী, কৃষক, জেলেসহ সর্বস্তরের পথচারীরা উপকৃত হবে। বহু বছর যাবৎ ময়লা অপসারণ না করায় পঁচা দূর্গন্ধে পথচারীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতো। ময়লা পুরোপুরি অপসারিত হলে আর কেউ আক্রান্ত হবে না।

ভাইস-চ্যান্সেলর সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান। এ বিষয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি পীরতলা বাজারের ব্যবসায়ী, এলাকাবাসী, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শাহীন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে ময়লাগুলো কোন সরকারি পতিত জায়গায় ফেলে দেয়া হবে। পরে কোন খাস জমি পেলে সেখানে স্থায়ীভাবে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা-ভাবনাও করা হচ্ছে।

মেসেঞ্জার/তুহিন/আজিজ