ছবি : মেসেঞ্জার
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিরোধীতাকারী, স্বৈরাচারী সরকারের দোসর এবং হামলা-মামলা ও নির্যাতনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে যুক্ত থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে বুধবার (৩০ অক্টোবর) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে তারা।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে প্রশাসন ভবনের সামনে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট ও সহ সমন্বয়করাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা পোষ্য কোটা সিস্টেমে ফেলে অযোগ্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ প্রদান না করার দাবি জানান।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমাদের আন্দোলনে প্রথম যে মূল দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার। কিন্তু ফ্যসিবাদী সরকার যৌক্তিক দাবি মেনে না নিয়ে সারাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। যেই বৈষম্যের জন্য হাজার হাজার ছাত্র জনতা প্রাণ দিলো আবারও সেই একই বৈষম্য ইসলামী করার চেষ্টা করছে একটি গোষ্ঠী।
এই বৈষম্য যারা গড়ে তুলতে চাচ্ছেন তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করবে ছাত্র সমাজ। যারা জুলাই বিপ্লবকে অস্বীকার করেন এবং বৈষম্যকে ফিরিয়ে আনতে চান তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে ছাত্র সমাজ। জুলাই বিপ্লবে ছাত্র সমাজ ১৬ বছরের এক ফ্যাসিস্টকে রাস্তায় নামাতে পেরেছে আপনাদের অবস্থা একই হবে। যদি জুলাই- আগস্টের বিপ্লবপকে ধারণ করতে না পারেন দোয়া করে আপনাদের চেয়ারগুলো ছেড়ে দিন।
তিনি আরো বলেন, যাদের হাতে হাজারো শহিদের রক্ত লেগে ছিল তাদেরকে বাংলাদেশ অন্তবর্তীকালীন সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন থেকে তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে ছাত্র সমাজ। গণহত্যা, হামলা ও আন্দোলনকে ভণ্ডুল করার জন্য যেসকল শিক্ষক ছাত্রলীগকে ইন্ধন দিয়েছে তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মেসেঞ্জার/রিয়াদ/তারেক