ঢাকা,  শনিবার
২৩ নভেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

পবিপ্রবিতে মাদক সরবরাহের সময় ৩ বহিরাগত আটক

পবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৫:২৬, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পবিপ্রবিতে মাদক সরবরাহের সময় ৩ বহিরাগত আটক

ছবি: মেসেঞ্জার

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) মাদকসেবন ও কেনা-বেচার সময় হাতেনাতে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম এর নির্দেশে সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা শাখার প্রধান মুকিত মিয়ার নেতৃত্বে  নিয়মিত তদারকিতে বের হয় বিশ্ববিদ্যালয়  নিরাপত্তা টীম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পিছনের পুকুর সংলগ্ন এলাকায়  মাদকসেবনরত অবস্থায় ২ জন মাদকসেবীকে হাতেনাতে ধরা হয়।

তারা হলেন পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার রাজাখালী গ্রামের আমিনুল ইসলামের পুত্র ইকবাল আজিজ(১৮) ও দক্ষিণ দুমকী গ্রামের কালাম খন্দকারের পুত্র মোঃ রাফি খন্দকার(১৭)। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করেন নিরাপত্তা শাখার কর্মীরা। 

মাদকসেবিদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক এক মাদকবিক্রেতাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনপুলের সামনে থেকে মাদক বেচাকেনার সময় হাতেনাতে ধরা হয়। আটককৃত মাদকবিক্রেতা হলেন ভোলা জেলার সদর উপজেলার মোঃ হারুনের পুত্র মোঃ সিয়াম(২০)। 

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার জন্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসককে জানান। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে দুমকি উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সকল স্বাক্ষীপ্রমাণের ভিত্তিতে মোঃ সিয়ামকে ৬ মাস ও ইকবাল আজিজকে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দু'জনকে ১০০ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়। তাদের পুলিশ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া, মোঃ রাফি খন্দকার অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে তার পিতার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "বর্তমান ভিসি স্যারের নির্দেশে আমাদের প্রক্টরিয়াল টীম সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নিয়মিত টহল ও তদারকি করছি। বর্তমানে আমাদের চলমান এই অভিযান ও তদারকির ফলে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মাদকের প্রাপ্তি ও সহজলভ্যতা কমাতে পেরেছি।" এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

মেসেঞ্জার/তুহিন/ফামিমা