ছবি: মেসেঞ্জার
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের জিইসি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম।
এসময় তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে বাঙালিরা স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জন করে। বিজয় অর্জিত হয় ১৬ ডিসেম্বর। ১৭ ডিসেম্বর পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়, মিরপুর রায়ের বাজারে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ছিলেন রাও ফরমান আলী।
তিনি আরও বলেন, বুদ্ধিজীবীদের পেশীশক্তি, অস্ত্রের শক্তি ছিল না, ছিল কেবল মগজের শক্তি, যা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারত। পাকিস্তানিরা বাঙালিদের কাছে পরাজয় নিশ্চিত জেনে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য ও জ্ঞানশূন্য করার জন্য, বাংলাদেশের অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, জগতে মানুষের চেয়ে শক্তিশালী অনেক প্রাণী আছে। কিন্তু মানুষ মেধার দিকে সবার চেয়ে শক্তিশালী। এজন্যই মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব পাকিস্তানিরা এদেশের মগজের শক্তিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান হচ্ছে সেই মগজের শক্তিকে বাড়ানোর আন্দোলন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষক প্রফেসর মিহির কুমার রায়, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন প্রফেসর এম. মঈনুল হক, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইফতেখার মনির, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শেখ মুহম্মদ ইব্রাহিম, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান তানজিনা আলম চৌধুরী, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক প্রমূখ।
মেসেঞ্জার/আনোয়ার/তুষার