ঢাকা,  বুধবার
০৮ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

ফেলানী হত্যার বিচারের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ৭ জানুয়ারি ২০২৫

ফেলানী হত্যার বিচারের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

ছবি : মেসেঞ্জার

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ফেলানী হত্যার বিচার, ভারতের সঙ্গে সকল চুক্তি প্রকাশ ও অসম সব চুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বরে শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী লেখা সংবলিত বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে 'সীমান্ত মানুষ মরে, প্রশাসন কি করে' 'ওয়াসিব সাইদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ', 'ফেলানি হত্যা দিচ্ছে ডাক, সিমান্ত হত্যা নিপাত চাই', বাতিল করো বাতিল করো, অসম চুক্তি বাতিল করো'সহ নানা শ্লোগান দেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। ফেলানীসহ সকল হিত্যার বিচার আমরা চাই। ভারতের সাথে সকল চুক্তি প্রকাশ্যে এনে অসম চুক্তি বাতিলেরও দাবি জানান তারা।

এসময় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কিশোর সাম্য বলেন, প্রতিদিনই আমাদের কোন না কোন সীমন্তে আমাদের দেশের নাগরিকদের উপর গুলি চালাচ্ছে ভারতের সীমান্তরক্ষীরা। এমনকি তাদের চির শত্রু পাকিস্তান সীমান্ত এমন ভাবে গুলি চালাচ্ছে না।এতটা আগ্রসনের পরেও বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এই হত্যাকান্ডকে জায়েজ করেছে।এ খন আর ফ্যাসিস্ট সরকার নাই অতএব গত সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতিকে ছুড়ে ফেলা দিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী  ইভান তাহসিব বলেন, আজকে ফেলানী হত্যার চোদ্দ বছর পার হলে এখনো এর বিচার দেখতে পাইনি। এই বিচারহীনতা প্রমাণ করে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কি রকম।ভারতের হিন্দুত্ববাদী বীজিপি সরকারের ইন্ধনে ভারতীয় মিডিয়া গুলো প্রচার করছ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। ভারতের সাথে যেসব অসম চুক্তি আছে তা বাতিল করতে হবে। এছাড়া ফেলানী হত্যাসহ সীমান্তে যেসব হত্যা হয়ছে তার বিচার আমরা চাই।

এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর রামখানা অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নির্মম হত্যার শিকার হন কিশোরী ফেলানী। দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল তার মরদেহ।

মেসেঞ্জার/ইমরান/তুষার