ছবি : মেসেঞ্জার
১২ ঘণ্টা পার হলেও অনশন ভাঙেনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনশন পালন করছেন তারা। এর আগে এদিন সকাল সাড়ে আটটায় অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিন সোয়া ছয়টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন জবি উপাচার্য। শিক্ষার্থীদের নিকট কাজের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন তিনি। এরপর শিক্ষার্থীরা ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের আসার দাবি জানান। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে বসে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার অনুরোধ জানান উপাচার্য। তবে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখান করেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু আমাদের দাবির সঙ্গে একমত আমাদের দাবি এখন ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়ের কাছে। তারা আমাদের জানাক।
এর আগে এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং তা অনেকবার প্রকাশ্যে ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। এজন্য ইউজিসিকে আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে লিখিতভাবে অনুরোধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে অনুযায়ী ইউজিসিকে চিঠি দিয়েছে, যা এখন সেখান থেকে মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়।
প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিন দাবিতে অনশন করছেন। তাদেত দাবি- সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে। যতদিন অব্দি আবাসন ব্যবস্থা না হয় ততদিন পর্যন্ত ৭০% শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
মেসেঞ্জার/ইমরান/তুষার