ছবি : মেসেঞ্জার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের পাঁচ দিনব্যাপী নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব শুরু হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, পিএইচডি।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালের কোষাধ্যক্ষ ড. সাবিনা শরমিন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. বেলাল হুসাইন এবং শাখা শিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলামসহ শাখার অন্যান্য নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশনা দেখতে আসা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাগর দাস জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের আয়োজনের জন্য ছাত্র শিবিরকে ধন্যবাদ। আমি মনে করি, এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত হলে শিক্ষার্থীদের পড়ার প্রতি আগ্রহ আরও বাড়বে, সাথে সাথে শিক্ষার পরিবেশ আরও সুন্দর হবে বলে মনে করছি।’
বই উৎসবে এসে ইংরেজি বিভাগের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাসরিন নাহার বলেন, ‘৫ আগস্ট বলতে গেলে নতুন করে শিবিরের আত্নপ্রকাশ হয়েছে। শিবিরের প্রকাশিত কিশোরকন্ঠ, ছাত্রসংবাদ, ‘মোরা বড় হতে চাই’ এসব বই আমরা ছোটবেলায় পড়তাম। কিন্তু দীর্ঘদিন এসব বই আমরা পাইনি। আজ এখানে দেখে খুবই ভালো লাগছে। বিগত দিনে এসব বই, মওদূদীর বইকে জঙ্গী বই বলা হত। এখন এসব বই দেখে অনেক ভালো লাগছে, আবেগ আপ্লুত হয়ে যাচ্ছি।’
প্রকাশনা উৎসবে স্টল নেওয়া বিন্দু প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনের জন্য ইসলামী ছাত্রশিবিরকে ধন্যবাদ। বিগত সময়ে এ ধরনের উৎসবে ইসলামি বইয়ের স্টল থাকবে এটা কল্পনা করা যেত না। সময় বাড়ার সাথে সাথে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।’
অনুভূতি জানাতে গিয়ে গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল হুদা বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনকে আমরা সাধুবাদ জানায়, তবে আমরা আশা করি সামনে যেন এরচেয়ে বড় আয়োজন হয়। এ ধরনের আয়োজন শুধু ছাত্রশিবির না, সব ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন করুক সেই প্রত্যাশা থাকবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. সাবিনা শারমিন বলেন, ‘প্রকাশনা উৎসব শিবিরের একটি ক্রিয়েটিভ আইডিয়া। আশা করি, ভবিষ্যতেও ছাত্র শিবির এই ধরনের কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, পিএইচডি বলেন, ‘ইসলামী ছাত্রশিবির আজকে যে বই উৎসবের আয়োজন করেছে এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। আর বই মানেই জ্ঞান অর্জন। ছাত্রসংগঠনগুলো যদি এ ধরনের উদ্যোগ ক্রমাগত চালিয়ে যায় তাহলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য সে লক্ষ্যে আমরা আরও এগিয়ে যাব। ইসলামি ছাত্রশিবিরকে আন্তরিক ধন্যবাদ এ ধরনের একটি আয়োজন করার জন্য। এ ধরনের আয়োজন আরও হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আরও উপকৃত হবে এবং তারা জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় আরও এগিয়ে যাবে।’
প্রকাশনা উৎসবের আয়োজক ইসলামি ছাত্রশিবিরের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘ইসলামি ছাত্রশিবির একটি আদর্শিক এবং শিক্ষার্থী বান্ধব সংগঠন। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই শিবির শিক্ষার্থীদের সংকট, সম্ভাবনা ও প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় জবি শিবিরের এই আয়োজন। শিক্ষার্থীরা যেন শিবির সম্পর্কে বিস্তর ধারণা পায় এবং ছাত্র শিবির সম্পর্কে যে সব মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো হয়েছে তার অসারতা তুলে ধরতে এ আয়োজন ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।’
এবারের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসবে মোট ৯ টি স্টল বসেছে। এর মধ্যে শিবিরের নিজস্ব স্টল ৩টি। অন্যান্য স্টলগুলো হলো- বাংলাদেশ কোঅপারেটিভ বুক সোসাইটি, বিন্দু প্রকাশনী, গার্ডিয়ান প্রকাশনী, সন্দীপন প্রকাশনী, প্রচ্ছদ প্রকাশনী, দারুস সালাম বাংলাদেশ।
মেসেঞ্জার/ইমরান/তুষার