ঢাকা,  শুক্রবার
২৪ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

র‍্যাগিং-বুলিং প্রতিরোধে গবেষণা প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হবে : জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

র‍্যাগিং-বুলিং প্রতিরোধে গবেষণা প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হবে : জবি উপাচার্য

ছবি : মেসেঞ্জার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, র‍্যাগিং ও বুলিংয়ের বিষয়ে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। র‍্যাগিং-বুলিং প্রতিরোধে বিশেষ গবেষণা প্রকল্প হলে অনুমোদন দেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য একটি সহনশীল, নিরাপদ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত 'রেইজিং অ্যাওয়ারনেস: কমব্যাটিং বুলিং অ্যান্ড র‍্যাগিং ইন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বুলিং ও র‍্যাগিং যেন কোনোভাবেই স্থান না পায়। এজন্য সকল শিক্ষার্থীকে সচেতন হতে হবে। ইতিমধ্যে র‍্যাগিং ও বুলিংয়ের কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। ২০তম ব্যাচ আসার আগেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং ও বুলিং-এ ‘জিরো টলারেন্স’ চাই।

সেমিনারে কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বুলিং এন্ড র‍্যাগিং প্রিভেনশন কমিটির আহ্বায়ক এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আকরাম উজ্জামান। তিনি বলেন, বুলিং ও র‍্যাগিংয়ের প্রভাবে সমাজে ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এসব বিষয় থেকে উত্তরণের উপায় বের করতে হবে। বুলিং ও র‍্যাগিং শুধু শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন নয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশকেও প্রভাবিত করে। আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে, যাতে ক্যাম্পাসে এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (অ.দা.) অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান, সহযোগী অধ্যাপক মোস্তাফিজ আহমেদ, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ড. কেএএম রিফাত হোসেনের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম ও ১৯তম ব্যাচের শ্রেণি প্রতিনিধিসহ অন্যান্য অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।

মেসেঞ্জার/ইমরান/তুষার

আরো পড়ুন