ঢাকা,  শুক্রবার
২৪ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন হযরত শাহ আলী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

মেসেঞ্জার ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন হযরত শাহ আলী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

ছবি : মেসেঞ্জার

গত ২ জানুয়ারি ‘দৈনিক সকালের সময়’ পত্রিকার ৬ষ্ঠ পাতার তিন কলাম জুড়ে ‘পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চাকুরি করছেন অবৈধ নয়জন শিক্ষক’ শিরোনামে সংবাদ প্রচার হয়। অত্র শিরোনাম সম্বলিত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন হযরত শাহ আলী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারগিস আক্তার।

প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষক নার্গিস আক্তার দাবি করেন, প্রকাশিত সংবাদে তাদেরকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও পক্ষপাতদুষ্ট।

তিনি এ সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, প্রকৃত জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের কারিগর সাংবাদিক সমাজ। আর সংবাদপত্র হলো সেই সমাজের দর্পন। সাংবাদিক এবং সংবাদপত্র যদি হলুদ সাংবাদিকতায় নিয়োজিত থাকে তাহলে জাতির বিবেক খ্যাত এবং রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ খ্যাত সংবাদমাধ্যম এবং গণমাধ্যমের প্রতি বোদ্ধা মহলে ও পাঠক সমাজে শ্রদ্ধার স্থলে ঘৃণা ও অস্বস্থি দেখা দিতে বাধ্য। এমনই এক হলুদ সাংবাদিকতার নজির দেখিয়েছে ‘দৈনিক সকালের সময়’ পত্রিকা।

তিনি জানান, গত ২ জানুয়ারি পত্রিকাটির ৬ষ্ঠ পাতার তিন কলাম জুড়ে ‘পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চাকুরি করছেন অবৈধ নয়জন শিক্ষক’ শিরোনামে সংবাদ প্রচার হয়। অত্র শিরোনাম সম্বলিত সংবাদটি পড়লেই বুঝা যায়, শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, পরিচালনা পর্ষদ এর এখতিয়ার, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ভূমিকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর অধঃস্থন কার্যালয়সমূহের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, অঞ্চল ভিত্তিক উপ-পরিচালক ও পরিচালকদের ভূমিকা ও একজন শিক্ষকের এমপিও Monthly Pay Order প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে নিয়মনীতি অনুসরণ করা হয়, তার ন্যূনতম জ্ঞান সম্ভবত: উক্ত সংবাদের প্রতিবেদক মনিরুজ্জামান মনি নামক কথিত সাংবাদিকের জানা নেই। যার ফলে এমন অসত্য বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ফরমায়েশী ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যা মোটেই একটি জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ কাম্য নয়।

প্রতিবাদে তিনি আরও উল্লেখ করেন, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন কখনোই বেদবাক্য নয়। এক্ষেত্রে কোন শিক্ষক কর্মচারীকে জড়িত করলে তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকে। উক্ত বিষয়টি তদন্তাধীন বিষয়, যাকে বিচারিক ভাষায় বিচারাধীন বিষয় বা সাবজুডিশ বলা হয়। এ জাতীয় বিষয়ে ছিদ্র খুঁজে সংবাদ ছাপানো পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ ছাড়া আর কিছুই নয়। সাথে সাথে তদন্ত কার্যক্রমকে ভিন্নপথে নেওয়ার অপকৌশল হিসাবে হযরত শাহ আলী উচ্চ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মানীত প্রধান শিক্ষক নার্গিস আক্তার, সহকারী শিক্ষক মাহফুজা আক্তার, ডলি সাহা, শাহনাজ আক্তার, জেসমিন আহমেদ, লক্ষ্মী রাণী দেবনাথ, কহিনুর নেছা, হোসনে আরা হ্যাপী, ইকবাল আলীসহ অত্র ৯ (নয়) জন সম্মানীত শিক্ষককে হেয় প্রতিপন্ন করার কুমতলবে উক্ত সংবাদ ছাপানো হয়েছে মাত্র। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করে অত্র বিদ্যালয়ের সাথে জড়িত সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমাজকে উক্ত অসত্য সংবাদ পাঠে বিভ্রান্ত না হওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।

মেসেঞ্জার/তুষার

আরো পড়ুন