![চবিতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা: প্রতিবাদে মানববন্ধন চবিতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা: প্রতিবাদে মানববন্ধন](https://www.dailymessenger.net/media/imgAll/2024February/46-2502061149.jpg)
ছবি : মেসেঞ্জার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের বাধা ও হেনস্তার প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। এসময় চবিসাসের সদস্যসহ ক্যাম্পাসের সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকদের ভূমিকা তুলে ধরে চবিসাসের সভাপতি মোহাম্মদ আজহার বলেন,‘আমরা সবসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ নিরপেক্ষভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করি। নানা বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করেও সত্য প্রকাশ করেছি। গত ৩০ বছরেও কখনো ভয় পাইনি। ইতিহাস সাক্ষী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে চবিসাস সাহসী ভূমিকা রেখেছিল। আজও আমরা সাংবাদিকদের পাশে আছি এবং থাকব।’
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে অবস্থানরত নারী শিক্ষার্থীরা সবাই দোষী নন। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক। গতকালের ঘটনার সময় যদি কোনো অপ্রীতিকর কিছু ঘটত, তাহলে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় তা ধরা পড়ত। কিন্তু উল্টো আমাদের সহকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে, যা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।’
ভুক্তভোগী চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক অনিন্দিতা সরকার প্রথা সাংবাদিক লাঞ্ছনার নিন্দা ও বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনা হলে গিয়েছিলাম প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে। কিন্তু সেখানে কিছু নারী শিক্ষার্থী আমাদের ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এগিয়ে আসেন। আমাদের সহকর্মীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই—অপরাধী নারী বা পুরুষ যেই হোক না কেন, প্রশাসনকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ভুক্তভোগী ঢাকা মেইলের সাংবাদিক রিদুয়ান আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের তিনজন সাংবাদিককে হয়রানি করা হয়েছে, একজনের মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
প্রসঙ্গ, গতকাল বুধবার রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের নামফলক অপসারণের চেষ্টা করেন একদল শিক্ষার্থী। এ সময় হলের নারী শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে নামফলক অপসারণে বাধা দেন এবং সংশ্লিষ্টদের ধাওয়া করেন। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন শেখ হাসিনা হলের নারী শিক্ষার্থীরা। এক সাংবাদিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়, আরেকজনের ফোন কেড়ে নেওয়া হয় এবং ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করা হয়।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চবিসাসের নেতৃবৃন্দ।
মেসেঞ্জার/সাকিব/তুষার