ঢাকা,  রোববার
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

আন্দোলন প্রত্যাহার ঘোষণা করলেন পবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

পবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আন্দোলন প্রত্যাহার ঘোষণা করলেন পবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

ছবি : মেসেঞ্জার

সঠিক বিচার এবং প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধসহ সকল প্রকার আন্দোলন প্রত্যাহার ঘোষণা করেছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এএনএসভিএম অনুষদের ক্যাম্পাস সংলগ্ন স্থানে এক স্থানীয় ব্যক্তি কর্তৃক ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এবং সকল প্রকার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করার ঘোষণা দেয়।

পরবর্তীতে শনিবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডি, স্থানীয় প্রশাসন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে আলোচনায় বসে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. জিল্লুর রহমান, সহকারী প্রক্টর ডা. আনোয়ার জাহিদ, অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফয়সল কবির, হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান এবং কুলসুম বেগমসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় অভিযুক্ত ব্যক্তি মিঠু সকল শিক্ষার্থীদের সামনে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এয়ারপোর্ট থানার ওসি বরাবর মুচলেকা প্রদান করে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একটি জিডি করা হয় এয়ারপোর্ট থানায়।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন ডিসিপ্লিনের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আজ দুপুর ১২ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে আমাদের ছোট ভাই রাহাতকে অপমান ও নির্যাতনের বিষয়ে অভিযুক্ত মিঠুর বিচারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অভিযুক্ত মিঠু নিজের ভুল স্বীকার করে সকলের সম্মুখে ক্ষমা চেয়েছে এবং পরবর্তীতে এমন কিছু না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমাদের যেই দাবি ছিল এবং তার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি যেহেতু পূর্ণ হয়েছে তাই আমরা আমাদের সকল প্রকার আন্দোলন প্রত্যাহার ঘোষণা করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘সেই সাথে আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার এবং সকল শিক্ষকদের যারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করেছেন।’

মেসেঞ্জার/তুহিন/তুষার