ছবি : মেসেঞ্জার
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে ২৬ জানুয়ারি দায়িত্ব পান ড. মোহা. আজিজুর রহমান। দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই গ্রন্থাগারের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে পোস্ট ডিলিটের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এর আগে গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন শেখ মো. জালাল উদ্দিন। হঠাৎ করে গত ২৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শেখ মো. জালাল উদ্দিনকে অব্যহতি দেওয়া হয় এবং একই বিভাগের অতিরিক্ত গ্রন্থাগারিক ড. মোহা. আজিজুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ড. মোহা. আজিজুর রহমান দায়িত্ব পাওয়ার পরই কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে সাবেক আওয়ামীপন্থী উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখরের আমলের সকল ছবি উধাও হয়ে যায়। তবে পেইজটি থেকে তার পূর্ববর্তী উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. এইচ. এম. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথের ছবিগুলো রিমুভ করা হয়নি। সৌমিত্র শেখরের সাথের ছবিগুলো হঠাৎ উধাও হওয়ার বিষয়কে অনেকে নতুন প্রশাসনের সান্নিধ্য পাওয়ার আশা বলে মনে করছেন।
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক ড. মোহা. আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, " লাইব্রেরির ফেইসবুক পেইজের এডমিন তো এখন আমি। দায়িত্ব পাওয়ার পরে হয়েছি। পোস্ট ডিলিটের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। এর আগে আরেকজন দায়িত্বে ছিলেন। তিনি এডমিন ছিলেন তখন।"
বিষয়টি নিয়ে পূর্বের গ্রন্থাগারিক শেখ মো. জালাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন,"আমি কোনো পোস্ট ডিলেট করিনি। আমাকে এডমিন থেকে রিমুভ দেওয়া হয়েছে। আমি আর এখন ঐ পেইজের এডমিন নই।"
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, "বিগত সময়ে সাবেক উপাচার্য সৌমিত্র শেখর ও সাবেক রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীরের সাথে তার (ড. মোহা. আজিজুর রহমান) ভালো সম্পর্ক ছিল। মাঝে মাঝে হুমায়ুন সাহেবের সাথেতো দেখি আলাপ-আলোচনা করতে। নতুন প্রশাসনের কাছে যেতে হয়তো এসব করেছে।"
মেসেঞ্জার/তুষার
