ঢাকা,  শনিবার
০১ মার্চ ২০২৫

The Daily Messenger

চুয়েটে নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা  বিভাগের সেমিনার অনুষ্ঠিত

চুয়েট প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৭:৫৪, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়েটে নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা  বিভাগের সেমিনার অনুষ্ঠিত

ছবি : মেসেঞ্জার

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত হলো “ফিজিক্যাল প্ল্যানিং ইন বাংলাদেশঃ চ্যালেঞ্জেস এন্ড অপরচুনিটি” শীর্ষক সম্মেলন। গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০ টায় একাডেমিক ভবন-০৫ এর ইউআরপি স্টুডিও রুমে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সম্মেলনে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও এলজিইডি-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (আরবান ম্যানেজমেন্ট) মো. নুরুল্লাহ। পাশাপাশি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আকতার মাহমুদ এবং চুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইসরাত জাহান।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদ এর ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান।

সম্মেলনটিতে সভাপতিত্ব করেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দেবাশীষ রায় রাজা এবং সঞ্চালনা করেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহ জালাল মিশুক।

বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া  বলেন, “পরিকল্পনাবিদগণ টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। সঠিক নগর পরিকল্পনা পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নকেও গতিশীল করে। পরিকল্পিত নগরায়ন হলে নাগরিকদের জীবনের মান বাড়বে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং শহরে যানজট ও পরিবেশ দূষণের মতো সমস্যাসমূহ এড়ানো সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অর্থনৈতিক বৈষম্য ব্যাপক এবং গ্রামীণ ও শহর এলাকায় সুযোগের অসমতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বৈষম্য দূর করার জন্য শুধু শহর নয়, বরং পুরো দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে। প্রতিটি অঞ্চলের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষ পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন করলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানো সম্ভব।”

উল্লেখ্য, উক্ত সম্মেলনে নগর পরিকল্পনার বর্তমান প্রতিকূলতা ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

মেসেঞ্জার/আফনান/তুষার