
ছবি: সৌজন্য
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ফার্মেসি, ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ (জেপিজিএসপিএইচ), সেন্টার ফর এন্টারপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি) এবং বিএসআরএম স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের যৌথ আয়োজনে সম্প্রতি “এক্সপ্লোরিং বাংলাদেশ’স গ্রিন ট্রানজিশন: ডিকার্বনাইজেশন ইন দ্য ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি” শীর্ষক পরামর্শমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাস্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক ও গবেষকরা অংশ নেন। তারা বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে ডিকার্বনাইজেশন ও নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় শিল্পের টেকসই রূপান্তরের চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং করণীয় বিষয়গুলো উঠে আসে।
মতবিনিময় সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন আরএক্স-আরইটি গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. রাঈদ জমিরউদ্দিন। বক্তব্যে তিনি প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যসমূহ তুলে ধরেন। গবেষক দলের অন্যতম সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. অতনু রব্বানি পূর্ববর্তী একটি জ্বালানি রূপান্তর প্রকল্পের গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন। প্রধান গবেষক ড. রাঈদ জমিরউদ্দিন প্রকল্প সমন্বয়ক আমাল চৌধুরী আরএক্স-আরইটি প্রকল্পের আওতায় ঔষধ শিল্পে নবায়নযোগ্য শক্তির কার্যকর ব্যবহার এবং কার্বন নির্গমন হ্রাসের বাস্তবসম্মত কৌশল নির্ধারণ বিষয়ক গবেষণার কাঠামো, গবেষণা পদ্ধতি এবং সম্ভাব্য কার্যকর উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন।
এরপর বিএসআরএম স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন প্রফেসর আরশাদ মাহমুদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইন্ডাস্ট্রির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নেন। প্যানেল আলোচনায় ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, ইনস্টিটিউট অফ এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল অ্যানালাইসিস (আইইইএফএ) বাংলাদেশ এর এনার্জি লিড শফিকুল আলম, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর পরিচালক ড. মো. আখতার হোসেন, এমই সোলশেয়ার লিমিটেড এর ইনোভেশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, ফিউচার কার্বন লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রাদেন সিদ্দিকী, ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস এর নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী শরাফত আলী এবং আইসিটি বিভাগের, ইডিজিই প্রকল্পের স্মার্ট বাংলাদেশ এর কম্পোনেন্ট লিড ফারুক আহমেদ জুয়েল। তারা ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে মতবিনিময় করেন।
ঔষধ শিল্পের টেকসই ভবিষ্যৎ নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. আক্তার হোসেন বলেন, "শিল্পের টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে কার্বন নির্গমন হ্রাসের প্রচেষ্টা অবশ্যই সরকারি নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।"
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, "বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ও জ্বালানি সাশ্রয়ী উৎপাদন পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।"
সভায় নবায়নযোগ্য শক্তির গ্রহণযোগ্যতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। অংশগ্রহণকারীরা টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে ডিকার্বনাইজেশন প্রচেষ্টা বাংলাদেশের বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মেসেঞ্জার/জেআরটি