
ছবি : মেসেঞ্জার
হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্র চলছে। এমন ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ এবং স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন ক্রমেই বাড়ছে। বিভিন্ন সংগঠন ইতিমধ্যেই স্মারকলিপি দিয়েছে। মানববন্ধনেরও আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেয় জেলা ছাত্রদল।
এতে উল্লেখ করা হয়, ৩০ লাখ জনসংখ্যার জেলা হবিগঞ্জ। জেলাবাসীর চিকিৎসার একমাত্র অবলম্বন আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল। বহু প্রতিক্ষা ও সাধনার ফলে ২০১৭ সালে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ৫১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে স্থান পায় জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের একটি ভবনে। ন্যুনতম চিকিৎসা পাওয়ার আশায় বুক বাধে জেলাবাসী। ইতিমধ্যে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তি সংখ্যা বেড়েছে। এখন বছরে ভর্তি হচ্ছেন ১শ’ জন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে এখনও মেডিকেল কলেজটির স্থায়ী ক্যাম্পাস এখনও হয়নি। উপরন্তু মেডিকেল কলেজটি বন্ধের ষড়যন্ত্র চলছে বলেও আমরা শুনতে পেরেছি। এ ধরণের যেকোন ষড়যন্ত্র আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবো। আমরা অবিলম্বে মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের দাবি জানাই। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ ড. মোহাম্মদ ফরিদুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, যুগ্ম সম্পাদক মহিবুর রহমান শাওন প্রমূখ।
জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন বলেন, মেডিকেল কলেজটি আমাদের সম্পদ। এটির স্থায়ী ক্যাম্পাস এবং শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ও ডাক্তারদের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।
জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব বলেন, সারা দেশে কোথাও কোন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ হয়নি। অথচ এটি একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ। এটি বন্ধ বা জেলা সদর থেকে সরিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। যদি এ ধরণের কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তবে আমরা জেলাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।
তিনি জানান, আগামী (৮ মার্চ) মেডিকেল কলেজ বন্ধ বা স্থানান্তরিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।
মেসেঞ্জার/পাবেল/তুষার