ঢাকা,  বুধবার
১২ মার্চ ২০২৫

The Daily Messenger

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রকাশ্যে আসলেন পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি

পবিপ্রবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ১১ মার্চ ২০২৫

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রকাশ্যে আসলেন পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি

ছবি : মেসেঞ্জার

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান অনুষদের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী জান্নাতীন নাইম জীবন। গতকাল রাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ আত্মপ্রকাশ করেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সততা, কর্মস্পৃহা ও ন্যায়ের সৌধের উপর প্রতিষ্ঠিত হোক আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান পবিপ্রবি। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকুক, গবেষণার দ্বার উন্মোচিত হোক। বন্ধ হোক পতিত ফ্যাসিবাদের আগ্রাসন। বেঁচে থাকুক স্বপ্নদ্রষ্টা প্রতিটি শিক্ষার্থীর লালিত স্বপ্ন। নিরাপদ ও স্বাধীন বিচরণ ভূমিতে পরিণত হোক ১০৯ একর। আর চাই না সাক্ষী হতে আবরার ফাহাদ কিংবা জুলাই বিপ্লবের আবু সাঈদ কিংবা মুগ্ধের। তবে প্রয়োজনে প্রস্তুত আমরা আবু সাঈদ কিংবা মুগ্ধ হওয়ার। সকল শিক্ষার্থীদের পাশে আমরা পথচলার সারথি হয়ে থাকতে চাই।’

পোস্টের শেষে তিনি সভাপতি হিসেবে নিজের নাম প্রকাশ করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও তার এমন আত্মপ্রকাশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা প্রকাশ্যেই রাজনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। সর্বশেষ সোমবার (১০ মার্চ) রাতে শিবিরের সভাপতি জীবন আত্মপ্রকাশ করেন।

আত্মপ্রকাশের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে পবিপ্রবি শিবিরের সভাপতি জান্নাতিন নাইম জীবন বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনের চক্ষুশূল ছিল ইসলামী ছাত্রশিবির। ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সক্ষমতা ও শৃঙ্খলার পূর্ণতাকে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী নিজেদের জন্য হুমকিস্বরূপ মনে করত। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নির্যাতন ও নিষ্পেষণে জর্জরিত ছিল। বিগত ১৭ বছরে সবসময় পবিপ্রবিতে ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত ছিল এবং শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে ইনশাআল্লাহ।’

ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও কেন আত্মপ্রকাশ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির নিষিদ্ধকরণ। ছাত্রশিবির কখনোই লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক দল নয়। আমরা চাই আধিপত্যবাদী ছাত্ররাজনীতির অবসান। দল-মত, জাতি-ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ রেখে এগিয়ে যেতে চাই।’

মেসেঞ্জার/তুহিন/তুষার

আরো পড়ুন