ঢাকা,  শুক্রবার
১৪ মার্চ ২০২৫

The Daily Messenger

ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সাফল্যের শীর্ষে ছাত্রশিবির নেতা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:০২, ১৩ মার্চ ২০২৫

ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সাফল্যের শীর্ষে ছাত্রশিবির নেতা

ছবি : মেসেঞ্জার

ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ফলাফলে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রকাশিত ফলাফলে জানা যায়, তিনি জিপিএ-৪ এর মধ্যে ৩.৯৮ পেয়ে সেমিস্টারের ফার্স্ট বয় হিসেবে সপ্তম সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ বছর পুরো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ ফলাফল।

আসাদুজ্জামানের জন্ম ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেংরোল জিয়াবাড়ি গ্রামের এক সাধারণ পরিবারে। তার বাবা মো. বশির উদ্দিন একজন শিক্ষক এবং মা মোছা. ফিরোজা বেগম গৃহিণী। পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা আসাদুজ্জামান শৈশব থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা মাদ্রাসায় দাখিল পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও তিনি সাধারণ শিক্ষাকে বেছে নেন। বাবার উৎসাহ ও নিজের আগ্রহে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা চালিয়ে যান।

২০১৮ সালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে আসাদুজ্জামান পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হন। বড় ভাইদের অনুপ্রেরণায় একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাতেও মনোনিবেশ করেন তিনি।

২০১৮ সালে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.১৪ এবং এসএসসিতে জিপিএ-৪.৬৭ অর্জনের পর আসাদুজ্জামান ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। সেখানে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে একের পর এক সাফল্য অর্জন করেন তিনি। প্রথম সেমিস্টারে সিজিপিএ-৩.৯৫ পাওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় তার সাফল্যের যাত্রা। পরবর্তী সেমিস্টারগুলোতে তিনি যথাক্রমে ৩.৭৭, ৩.৭৪, ৩.৯৩ এবং ৩.৮০ অর্জন করেন। সদ্য প্রকাশিত ষষ্ঠ সেমিস্টারের ফলাফলে তিনি ৩.৯৮ পেয়েছেন।

ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী আসাদুজ্জামান প্রোগ্রামিং ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে HTML, CSS, JavaScript, Java, Python-এর মতো ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি Python প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন প্রজেক্টে অংশ নিচ্ছেন।

উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (ডুয়েট)-এ ভর্তি হতে চান আসাদুজ্জামান। তার বিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও আল্লাহর সাহায্যই তাকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেবে। ভবিষ্যতে দেশের প্রযুক্তি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বপ্ন দেখেন তিনি।

এই সাফল্যের বিষয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ আমার বাবা-মা, শিক্ষক এবং বড় ভাইদের প্রতি, যারা সবসময় আমাকে উৎসাহ জুগিয়েছেন। তাদের অনুপ্রেরণাই আমাকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে।’

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের যোগ দেওয়ার পরপরই লেখাপড়ার প্রতি আমার মনোযোগ বেড়ে যায়। আমাদের দায়িত্বশীলরা সবসময় লেখাপড়ার প্রতিবেশীগুলো দিয়ে থাকে সেই জন্যই আমার এত ভালো রেজাল্ট করতে পেরেছি।

আসাদুজ্জামানের শিক্ষক মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আসাদুজ্জামান একজন মেধাবী ছাত্র। তার পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের কারণে সে এই সাফল্য অর্জন করেছে। আমরা তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’

মেসেঞ্জার/আরিফ/তুষার

আরো পড়ুন