ছবি : সংগৃহীত
বর্তমান সময়ের আলোচিত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। অভিনেতা হিসেবেই যার মিডিয়াতে পথচলার শুরু। ছোট পর্দা-বড় পর্দা দুই জায়গাতেই সমানতালে কাজ করেছেন তিনি। তবে সমসাময়িক নায়কদের মতো ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করতে পারেননি।
সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি দীর্ঘ ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই অভিনেতা। যেখানে জয় দাবি করেছেন, কলেজে পড়াকালীন সময়ে তিনি দেখতে ভীষণ সুন্দর ছিলেন। সে সময়ে মেয়েরা তার জন্য পাগল ছিলেন। তবে সময়ের সাথে সাথে সেই সৌন্দর্য্য হারিয়ে গেছে।
জয় তার স্ট্যাটাসের শুরুতেই লেখেন, একটা সাক্ষাৎকারে দেখলাম নায়িকা শাবনুর বলছিল, ‘জয়ের চেহারাটা আরেকটু ভালো হলে আমাদের জুটিটা জমে যেত।’
নিজেকে সুন্দর ভাবতেন জানিয়ে এই অভিনেতা লেখেন, আমি কিন্তু ভাবতাম আমার চেহারাটা যথেষ্ট ভালো। আমি যখন অভিনয় শুরু করিনি, তখন সবেমাত্র ইন্টারমিডিয়েট পড়ি আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে। আমার চোখ দুটো এত তীর্যক ছিল এবং চেহারায় মায়া ছিল।
মনে আছে, কলেজের মেয়েরা আমার জন্য পাগল ছিল। শুধু তাই নয়, একটু দূরেই ছিল শহীদ আনোয়ারা গার্লস কলেজ। টিফিন টাইমে মেয়েরা শুধু আমাকে দেখতে আসতো। আমি তখন সেলিব্রেটি না। রিকশায় যখন যেতাম, তখন দেখতাম- আশেপাশে কোন মেয়ে গেলে চেহারা ঘুরিয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছে। একদম মিথ্যা না, এখনো দু’চারজন সাক্ষী জীবিত আছে।
প্রশ্ন রেখে জয় লেখেন, চেহারা খারাপ হয় কেন জানেন? জীবনযুদ্ধে। জীবনে এমনভাবে কিছু সময় আসে যখন চেহারার যত্ন নেওয়া তো দূরে থাক বেঁচে থাকার জন্য অথৈ সাগরে সাঁতার কাটতে হয়। তখন সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়। হয়তো আমারও তাই হয়েছে। আর যৌবনকালে একটু চেহারা বিভিন্ন উপায়ে ঠিক করব এই টেকনোলজিটা এখনকার মত ছিল না। ওইদিকে কোনো চিন্তাই ছিল না। একটাই লক্ষ্য ছিল জীবনে সফল হতে হবে। আমার উপর অর্পিত পরিবারের দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হবে।
বর্তমানে নিজেকে কিছুটা হলেও সফল মনে করেন এই অভিনেতা। জয়ের ভাষায়, আজকে বলতে পারি আমি নিজেকে কি দিতে পেরেছি জানিনা কিন্তু আমার পরিবারকে আল্লাহর অশেষ রহমতে দুধে-ভাতে রেখেছি। আমার মত অনেকের ঘটনাই তাই।
এরপর জয় লেখেন, যাক প্রসঙ্গ এটা না। প্রসঙ্গ হচ্ছে সামনে আমার দুটি কাজ আসছে। ওটিটি প্লাটফর্মে। গুটি সিরিজের পর আমার প্রায় দেড় বছর গ্যাপ পড়ে গেল। ৭ নম্বর ফ্লোর এবং গুটি আপনারা যেভাবে প্রশংসা করেছেন, আশা করি সামনের দুটি কাজ আপনাদের মন জয় করতে পারবে আরো অনেক বেশি।
সবশেষ নিজের কাজের পরিমাণ কমিয়ে ফেলার পেছনে নির্মাতাদের দায়ও দেখছেন এই অভিনেতা। জয়ের ভাষায়, তবে সত্যি কথা কি, কাজ করার ধারাবাহিকতা যদি অব্যাহত না থাকে তাহলে অভিনয়ের ছন্দ নষ্ট হয়ে যায়। ছন্দ নষ্ট হয়ে গেলে অভিনয়ের তাল আর ঠিক থাকে না।
মেসেঞ্জার/আজিজ