ছবি : সংগৃহীত
এক-দুইবার নয়, ছয়বার ছুরিকাঘাত করা হয় বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানকে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতেই একদল দুষ্কৃতির হাতে হামলার শিকার হন তিনি। এ নিয়ে রীতিমতো শঙ্কার মুখে মুম্বাইয়ের শোবিজ অঙ্গন।
সাইফের শরীরে ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর পরই নায়ককে হাসপাতালে নিতে দেরি করেননি তার বড় ছেলে ইব্রাহিম আলি খান। সাইফের অবস্থাও তখন রক্তাক্ত। এমন পরিস্থিতিতে দেখে এক মিনিটও সময় নষ্ট করেননি ছেলে।
এমন অবস্থায় বাবাকে নিয়ে তড়িঘড়ি করে টেম্পুতে উঠেই হাসপাতালের দিকে ছুটে যান ইব্রাহিম। কিন্তু নায়কের একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি থাকতেও কেন নবাবকে টেম্পুতে নেওয়া হলো, সে নিয়ে তৈরি হয়েছে নানান প্রশ্ন।
সাইফ যে গাড়ির বিষয়ে বেশ শৌখিন, সেটা অনেকেরই জানা। তার কালেকশনে যেসব গাড়ি রয়েছে, তা বলিউডের অনেকেরই নেই। সাইফের বান্দ্রার বাসভবনে রেঞ্জ রোভার ভোগ, মার্সিডিজ এস ক্লাস, অডি আর এইট, ল্যান্ড রোভার, ফোর্ড মুস্তাং জিটি-র মতো একাধিক দামি গাড়ি রয়েছে। কিন্তু এতকিছু থাকতেও শেষ মেশ টেম্পু জুটলো কেন, তা নিয়ে চর্চা।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর ইব্রাহিম নাকি বাড়ির সব গাড়ির খোঁজ করেন, কিন্তু যাওয়ার জন্য কোনোটাই পাননি। গাড়ির চালকদের হাঁকডাক করে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে হলে অনেকটা দেরি হয়ে যেত। এদিকে সাইফ-কারিনার বান্দ্রার বাসভবন থেকে হাসপাতাল প্রায় ২ কিলোমিটার। তাই কোনো উপায় না দেখে টেম্পুতে করেই বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন ইব্রাহিম।
এদিকে ঘটনার রাতে কারিনার যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানেই অভিনেত্রীকে দেখা গেল, অটো-রিকশার পাশে উদ্ভ্রান্তের মতো এদিক-ওদিক করতে। কারণ, সাইফের অবস্থা ছিল তখন গুরুতর; ঘাড় এবং শিরদাঁড়ায় যেভাবে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তা নায়কের প্রাণনাশের কারণ হতে পারত।
মেসেঞ্জার/তারেক