ছবি : সংগৃহীত
বাড়িতে বিলাসবহুল গাড়ির বহর থাকা সত্ত্বেও হামলার ঘটনার রাতে অটোতে করে হাসপাতালে ছুটতে হয় সাইফ আলি খানকে। কোটি টাকার মালিক এই সুপারস্টারের কপালে গাড়ি না জোটার বিষয়টি নিয়ে যখন জোর চর্চা, তখন সেই বিভীষিকাময় রাতের শিউড়ে ওঠা অভিজ্ঞতা শোনালেন সাইফের সেই দুঃসময়ের সারথি সেই অটোচালক। যিনি বলিউডের এই সুপারস্টারকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছিলেন বিনা ভাড়ায়।
ভজন সিং রানা নামে সেই অটো চালক বলেন, ‘বান্দ্রার রাস্তায় গভীর রাতে আমি তখন অটো চালিয়ে আসছি। হঠাত এক নারীর চিৎকার কানে আসে। তিনি আমাকে সাহায্যের জন্য কাকুতি মিনতি করা শুরু করেন। প্রথমে তো আমি বুঝতেই পারিনি যে সেটা সাইফ আলি খানের বাড়ি। আমি ভেবেছি, চারদিকে যেমন হেনস্তার ঘটনা ঘটে, তেমনই কিছু হবে।’
ভজন সিং বলেন, ‘পরে দেখি গুরুতর জখম অবস্থায় সাইফ হেঁটে আমার অটোতে উঠে বসলেন। একটা বাচ্চা এবং আরেকজন সঙ্গে ছিলেন। অটোতে উঠেই সাইফ প্রথমেই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন হাসপাতালে পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগবে? আমরা ৮-১০ মিনিটের মধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছে যাই।’
অটো চালক বলেন, ‘তার ঘাড়, পিঠ থেকে রক্ত ঝরছিল। সাদা পাঞ্জাবি রক্তে ভিজে লাল হয়ে যায়। ততক্ষণে অনেকটা রক্তক্ষরণও হয়ে যায়। ওই পরিস্থিতি দেখে আমি ভাড়া নেইনি। তবে সাইফ আলি খানকে দুঃসময়ে সাহায্য করতে পেরে আমার ভালো লেগেছে।’
সেই অটোচালক এখন মুম্বাইয়ের বান্দ্রা লাইনে বেশ ফেমাস। অনেকেই তাকে এই ঘটনার জন্য সাক্ষাৎ ‘ঈশ্বরের দূত’ বলেও মনে করছেন।
মেসেঞ্জার/তারেক