ছবি : সংগৃহীত
বুধবার গভীর রাতে বান্দ্রা এলাকায় সাইফ আলি খানের বহুতল আবাসনে হামলা চালিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। এসময় হামলাকারীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান বলি তারকা। একপর্যায়ে সাইফের হাতে, ঘাড়ে, মেরুদণ্ডে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান হামলাকারী। অভিনেতার শরীরে ৬টি ক্ষত রয়েছে। এর মধ্যে দুইটি ছিল গুরত্বর।
প্রথমে শোনা যায়, রক্তাক্ত সাইফকে অটোতে করে হাসপাতালে নিয়ে যান তার বড় ছেলে ইব্রাহিম আলি খান। তবে এবার জানা গেল, শিরদাঁড়ায় গাঁথা ছুরি নিয়েই ছেলে তৈমুরের হাত ধরে হাসপাতালে প্রবেশ করেন অভিনেতা মাত্র ৮ বছরের ছেলে তৈমুর বাবাকে নিয়ে যায় হাসপাতালে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সাইফের সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তারা।
চিকিৎসকদের কথায়, ‘সাইফ যখন হাসপাতালে প্রবেশ করেন, তখনও ছুরি পিঠে। ছোট্ট ছেলের হাত ধরে সিংহের মতো ঢোকেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থাতেও ভেঙে পড়েননি। এমনকি স্ট্রেচারে পর্যন্ত শুয়ে যাননি। বরং পায়ে হেঁটে হাসপাতালে পৌঁছান।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বিপদমুক্ত সাইফ আলি খান। জ্ঞান ফিরেছে তার। আপাতত এক সপ্তাহ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধান ছাড়া হাঁটাচলা করতে পারবেন না তিনি। তবে উদ্বেগের কিছু নেই। অভিনেতা চিকিৎসায় যথেষ্ট সাড়া দিচ্ছেন।
আপাতত চিকিৎসকেরা সাইফকে কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। পাশাপাশি আইসিইউ থেকে শুক্রবার সকালে তাকে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এদিকে বাবাকে কঠিন পরিস্থিতিতে একটুও ভয় না পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য নেটিজেনরা বাহবা জানিয়েছেন ছোট্ট তৈমুরকেও।
মেসেঞ্জার/তারেক