ঢাকা,  শুক্রবার
২৪ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

সম্পর্ক মেরামতে চীন সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব

মেসেঞ্জার ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:০১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

সম্পর্ক মেরামতে চীন সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব

ছবি : সংগৃহীত

চিরবৈরী প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি মাসে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রী। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্রসচিবের চীন সফরে যাওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ২৬-২৭ জানুয়ারি বেইজিং সফর করবেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রী। সফরে ২০২০ সালে দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তে উভয় দেশের সেনাসদস্যদের সংঘর্ষের পর স্থবির হয়ে পড়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

হিমালয় অঞ্চল লাগোয়া সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে অক্টোবরে একটি মাইলফলক চুক্তিতে পৌঁছায় নয়াদিল্লি এবং বেইজিং। এরপর রাশিয়ায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাঝে আলোচনার পর সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য উভয় দেশ পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের পর স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কে ভারত-চীন সম্পর্কের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার জন্য মিশ্রীর এই সফর অনুষ্ঠিত হবে।

২০২০ সালে প্রতিবেশী দেশ দু’টির সীমান্তে সংঘর্ষের কারণে সামরিক ও কূটনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যান্য ক্ষেত্রকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। ওই সংঘাতের পর চীনা নাগরিকদের ভিসা অনুমোদনের গতি কমিয়ে দেয় ভারত। এমনকি জনপ্রিয় চীনা মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ ও চীনা বিনিয়োগেও কঠোর পদক্ষেপ নেয় নয়াদিল্লি।

বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দুই দেশ চীন এবং ভারত। প্রতিবেশী এই দুই দেশের মাঝে বিশাল সীমান্ত রয়েছে। হিমালয় অঞ্চল লাগোয়া সীমান্তের বেশ কিছু বিতর্কিত এলাকা নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলে আসছে।

বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে ১৯৬২ সালে উভয় দেশের সৈন্যরা রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সীমান্তের এই সংঘাত গত কয়েক দশক ধরে দেশ দু’টির মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

ভারত শীতকালে উত্তর সীমান্তে সৈন্য সংখ্যা কমাতে রাজি নয়। গত সপ্তাহে দেশটির সেনাপ্রধান বলেছিলেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ফলাফলের ভিত্তিতে গ্রীষ্মকালীন সৈন্য মোতায়েনের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে।

মেসেঞ্জার/তারেক