ছবিঃ সংগৃহীত
সংযুক্ত আরব আমিরাতে দাঙ্গা ও বিক্ষোভের জন্য কর্তৃপক্ষ সোমবার অভিযুক্ত প্রবাসীদের কারাগারে সাজা ও নির্বাসনের আদেশ দেয়। এতে অভিযুক্ত ৩ বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আদালত অন্য ৫৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং অপর ১ বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ এবং সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (২২ জুলাই) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স ও দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রকাশিত সংবাদে এ তথ্য জানানো হয়। দণ্ডিত বিক্ষোভকারীরা দেশটিতে গাড়ি ভাংচুর এবং সরকারী ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি ধ্বংস করেছে বলে জানা গেছে।
গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) নিজ দেশের সরকারের বিরুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরাত জুড়ে বেশ কয়েকটি রাস্তায় গণজমায়েত এবং দাঙ্গা উসকে দেওয়ার অভিযোগে একদল বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।
এর আগে, আরব আমিরাতের অ্যাটর্নি জেনারেল চ্যান্সেলর ড. হামাদ সাইফ আল শামসি, ঘটনার অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং সন্দেহভাজনদের জরুরি বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দেন।
আজ শনিবার ২২শে জুলাই, আবুধাবি ফেডারেল আপিল আদালত রায় ঘোষণা করে এবং এতে বহিরাগতদের অবৈধ জমায়েতের জন্য শাস্তি দেয়। প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রসিকিউশন জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা পরিবহন ভাংচুর এবং সরকারী ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি ধ্বংস করেছে।
ত্রিশ সদস্যর একটি পাবলিক প্রসিকিউশন দলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত তদন্তের পরে দাঙ্গা , জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিপ্রায়ে এবং লোকালয়ে জড়ো হওয়ার অপরাধে অভিযুক্তদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে আদালতের এই রায় দিয়েছে।
অভিযুক্তরা এই ঘটনার ভিজ্যুয়াল ও অডিও ক্লিপও রেকর্ড করে ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে।অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং অপরাধ স্বীকার করেছে।
এতে বিচার চলাকালে পাবলিক প্রসিকিউশন সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে।
অপরদিকে অভিযুক্তদের পক্ষে আদালত কর্তৃক নিযুক্ত ডিফেন্স অ্যাটর্নি যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে, এই সমাবেশে কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্য ছিল না এবং অভিযোগের প্রমাণ অপর্যাপ্ত ছিল, যা তাদের জন্য দায়ী করা হয়েছিল তারা অভিযুক্তদের খালাস দাবি করে।
মেসেঞ্জার/আশরাফুল/আজিজ