ছবি : মেসেঞ্জার
জাপানে প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ডসহ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন বাংলাদেশী দম্পতি মাহমুদুল হাসান সোহাগ এবং আকলিমা খাতুন। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় মিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ডসহ তারা এই ডিগ্রি অর্জন করেন। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যায়ের সেপ্টেম্বর -২০২৪ সমাবর্তনে এই দম্পতিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে।
এই দম্পতি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেজুয়েটেড স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাদের গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন এপ্লাইড কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের এনালাইটিকেল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল লাবেরটরীর প্রফেসর ড. সাতোশি কানেকো।
ড. মাহমুদুল হাসান সোহাগ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তিনি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার লাখাই উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক মরহুম শফি উদ্দিন আহমেদের একমাত্র ছেলে।
অন্যদিকে, ড. আকলিমা খাতুনের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায়। দুজনেই সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। জাপান সরকারের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের স্কলারশীপ নিয়ে দুজনেই উচ্চতর ডিগ্রি নিতে জাপানে পাড়ি জমান।
ড. মাহমুদুল হাসান সোহাগের গবেষণার শিরোনাম ছিল " ডেভেলপমেন্ট অব এডভান্সড টেকনোলজি ফর ফটোক্যাটালাইটিক ডিগ্রেডেশন অব অর্গানিক পলুটেন্টস ইন অ্যাকুয়াস সলুশন উইদ মডিফাইড গ্রাফিটিক কার্বন নাইট্রাইড কম্পোজিটস"। পিএইচডি গবেষণাকালে তার ৭টি প্রথম অথরেরসহ মোট ১১ টি আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ৫ টি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স এবং সিম্পোজিয়ামে তিনি গবেষণা উপস্থাপন করেন।
অন্যদিকে ড. আকলিমা খাতুনের গবেষণার শিরোনাম ছিল “ডেভেলপমেন্ট অব রেমেডিয়েশন টেকনোলজি ফর হ্যাজারডাস হ্যাক্সাভ্যালেন্ট ক্রোমিয়াম ইন অ্যাকুয়াস সলুশনস ইউজিং গ্রাফিটিক কার্বন নাইট্রাইড বেইজড ফটোক্যাটালিস্ট” । পিএইচডি গবেষণাকালে ৩টি প্রথম অথরেরসহ মোট ৯ টি আন্তর্জাতিক জার্নালে তার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ৩ টি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স এবং সিম্পোজিয়ামে তিনি গবেষণা উপস্থাপন করেন। নিজেদের অর্জিত গবেষণালব্দ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখতে চান এই দম্পতি।
মেসেঞ্জার/দিশা