ছবি : মেসেঞ্জার
৯ থেকে ১৩ অক্টোবর সিডনিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সারম্বরে দূর্গা পূজা উদযাপন করে। উদযাপনের পাশাপাশি তারা অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হত্যা, জুলুম নির্যাতন, হিন্দুদের সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ এর প্রবিবাদ ও প্রতিকারের আহ্বান জানিয়েছেন।
সিডনিতে এবারে ২৩টি পূজা মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে বিএসপিসি, বিপিএ, ভক্ত মন্দির, আভা, আগমনী, শঙ্খনাদ, আনন্দধারা, আরোহন, দেবীপক্ষ, দর্পন, নবরূপ, সিডনি কালীবাড়ি, ত্রিনয়নী, উৎসব, উত্তোরণ, বলকামহিল দূর্গাপূজা, ওয়েষ্ট বেঙ্গল এসোসিয়েশন অন্যতম।
এছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে নিজেদের বাড়ির আঙিনায় কেউ কেউ পূজা আয়োজন করে ধর্মীয়, সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে। (১৩ অক্টোবর) দশোহরা ও এয়োদের সিঁদুর দেয়া ও দেবীর প্রতিকী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
দুর্গাপূজা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ, আসাম, ত্রিপুরা, ওরিষ্যা ও ঝাড়খন্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এছাড়াও এটি সারাদেশে এবং বিশ্বের প্রধান শহরগুলিতে বাঙালি প্রবাসীরা ব্যাপকভাবে পালন করে। বছরের পর বছর ধরে, ভারতীয় শহর কোলকাতা, দুর্গাপূজা উৎসবের জাতীয় ও বৈশ্বিক উদযাপনের ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে।
দুর্গাপূজায় ৪৯২ টি উপাদানের সমন্বয় করতে হয়। এতে অভিব্যক্তির ধরন রয়েছে যা অস্পষ্ট ঐতিহ্যের বৈচিত্র্যের সাক্ষ্য দেয় এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়। এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক চর্চা, এবং আধ্যাত্মিক দর্শণ বৃদ্ধি করে। ইউনেস্কোর লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী সম্প্রদায়ের সব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে রক্ষা করা।
এ পূজায় সনাতনীরা দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন ও পৃথিবীর সকল প্রানীর সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে মায়ের কাছে প্রার্থনা করেন।
মেসেঞ্জার/নাইম/তারেক