পাখির চোখে কক্সবাজার দেখার সুযোগ ফ্লাই টেক্সিস এর হেলিকপ্টারে। ছবি: সংগৃহীত
সাধ আর সাধ্যের দোলাচলে আমাদের অনেক স্বপ্নই থেকে যায় অধরা। তেমনি এক স্বপ্ন হেলিকপ্টারে চড়ে ঘুরে বেড়ানো। সাধ থাকলেও সীমিত সাধ্যের কারণে অনেকেই এই শখটুকু পূরণ করতে পারে না। অর্থনৈতিক কিংবা নানা ধরণের সুযোগ সুবিধার কারণে অপূর্ণ থেকে যায় স্বপ্ন। এবার শখ পূরণ করতে 'ফ্লাই টেক্সসি এভিয়েশন' কক্সবাজারে নিয়ে এলো সুবর্ণ সুযোগ। অল্প খরচেই হেলিকপ্টার চড়ার স্বপ্ন পূরণ করতে এবং পাখির চোখে পর্যটন নগরী কক্সবাজার ঘুরে দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (২৬ জুন) রাতে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘জয় রাইড’ এর সুযোগ সুবিধার কথা জানিয়েছেন 'ফ্লাই টেক্সসি এভিয়েশন' এর কর্তৃপক্ষ।
ফ্লাই টেক্সসি এভিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরকে রিপন জানান, পর্যটন ব্যবস্থাকে আরও আকর্ষণীয় করতে দেশের প্রধান পর্যটন স্পট কক্সবাজারে হেলিকপ্টার ভ্রমণ সার্ভিস চালু করেছে ফ্লাই টেক্সসি এভিয়েশন লিমিটেড। এই কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী মনসুর খান। শুরু থেকে কক্সবাজারের চারটি পয়েন্ট থেকে এ সার্ভিসটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পয়েন্টগুলো হলো- হিমছড়ি, রেজুখাল, ইনানী ও পাটোয়ারটেক। খুব শিগগরিই সেন্টমার্টিন সার্ভিস চালু করা হবে। প্রতিজন ২৯৯৯ টাকায় ৫০০ ফুট উপর থেকে একসাথে ৪ জন কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারবেন। যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়ে সিভিয়েল এভিয়েশন কর্তৃক পরীক্ষিত হেলিকপ্টারে ভ্রমণ পিপাসুরা ঘুরতে পারবেন নিরাপদে।’
আরকে রিপন আরও জানান, ‘শুরুতে আমরা একটি হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছি। দিনে ১২ থেকে ১৫ বার উড্ডয়ন ও অবতরণ করবে। যে জায়গা থেকে উড্ডয়ন হবে সে জায়গায় অবতরণ করবে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টার বুকিং হবে ওয়েব সাইট, ফেসবুক এবং ফোনের মাধ্যমে। এ ছাড়া আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে।
কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান বলেন, কক্সবাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবস্থা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। কেননা, কম খরচে খুব সহজে পুরো কক্সবাজারটা ঘুরে দেখা যাবে। এ ক্ষেত্রে সময় ও শ্রম দুটিই বাঁচবে। এ ছাড়া সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সেন্টমার্টিন থেকেও ঘুরে আসা যাবে। আশা করি ভ্রমণ পিপাসুরা এই উদ্যোগে উপকৃত হবে।’
প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘অনেক দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, কক্সবাজারে হেলিকপ্টারে ভ্রমণের উদ্যোগটা যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। বিভিন্ন দেশে দেখেছি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এ ধরণের চমৎকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন উদ্যোক্তারা। সেখানে প্যারাসাইলিং, হেলিকপ্টার রাইড থেকে শুরু করে বিভিন্ন নতুন নতুন উদ্ভাবনী মাধ্যমে দেশিয় পর্যটকের পাশাপাশি বাইরের পর্যটকরাও আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছেন। সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করছে তারা। ঠিক একই ভাবে কক্সবাজারে হেলিকপ্টারে ভ্রমণের উদ্যোগটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। লোকজন পাখির চোখে কক্সবাজারের সৌন্দর্য উপযোগ করতে হেলিকপ্টারে চড়বে।’
এ সময় ফ্লাই টেক্সসি এভিয়েশন ডাইরেক্টর হেড অব অপারেশন ক্যাপ্টেন শফিউল করিম, প্রথম আলোর কক্সবাজার অফিস প্রধান আবদুল কুদ্দুস রানা, প্যাসিফিক বীচ লাউঞ্জ ক্যাফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ ইকবাল, ফ্লাই টেক্সসি এভিয়েশনের রিজিওনাল পার্টনার শফিক উল্লাহ, ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) এর সভাপতি আনোয়ার কামাল, ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) এর সভাপতি রেজাউল করিমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সরাসরি বুকিং এর জন্য ০১৭৬৩৮৭৭৫৮৯ এই নম্বরে যোগাযোগের পাশাপাশি সরাসরি ফ্লাই টেক্সসি এভিয়েশনের অফিসে গিয়েও কথা বলা যাবে। প্রতিষ্ঠানটির অফিসের ঠিকানা: বাড়ী -১১৫২, লেভেল -১, রোড- ৯/এ, মিরপুর -১২, মিরপুর ডিওএইচএস ঢাকা ও কক্সবাজারের কলাতলী অফিস। গত ১ নভেম্বর থেকে ইনানী সী পার্ল সংলগ্ন 'ফ্লাই টেক্সসি এভিয়েশন' তাদের এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করে।
টিডিএম/আরএ