ঢাকা,  সোমবার
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

সাপে কাটলে করা যাবে না যেসব কাজ!

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ১৬:৩১, ২৩ জুন ২০২৪

সাপে কাটলে করা যাবে না যেসব কাজ!

ছবি : সংগৃহীত

সাপের দংশনে প্রতিবছরই অনেক মানুষ প্রাণ হারান। মে থেকে অক্টোবরের মধ্যে সাপের উপদ্রব বেশি দেখা যায়। এর বাইরে সারা বছরই সাপের কামড়ে অনেকে আক্রান্ত হন। সাবধানী হওয়ার পরও দুর্ভাগ্যক্রমে সাপের দংশনের শিকার হতে পারেন অনেকে।

তেমন অবস্থায় ঠিকঠাক ব্যবস্থা নিলে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। সাপের দংশনে আক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী পদক্ষেপগুলো জেনে নিই-

সাপে কাটলে কী করবেন-

সাপের ধরন নির্ণয়: সাপ কামড়ালে প্রথমেই আঘাতের স্থান পর্যবেক্ষণ করে জানতে হবে সেটি বিষধর নাকি নির্বিষ। দুই ধরনের সাপের কামড়ের চিকিৎসা দুই রকম। বিষধর সাপের কামড়ে সাধারণত দুটি ক্ষত হয়, তবে নির্বিষ সাপের কামড়ে চার থেকে ১৬টি পর্যন্ত ক্ষত দেখা যেতে পারে।

কিছু সাপ কাটলে তাৎক্ষণাৎ টের পাওয়া যায় না। যেমন: কালাচ। সাপ অত্যন্ত বিষধর, কিন্তু বিষদাঁত ছোট হওয়ায় প্রাথমিকভাবে বোঝা যায় না, শুধু বমিভাব বা পেট খারাপের মতো উপসর্গ দেখা যায়। তাই এসব লক্ষণ দেখলে কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না।

এমন সাপ কাটলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। হাত বা পা ভাঙলে যেমন করে শক্ত কিছু দিয়ে কাপড় দিয়ে হালকা করে বাধা হয়, সেভাবে বাধুন সাপে কাটা পেশী যতটা কম সম্ভব নড়াচড়া করুন। পেশীর নড়াচড়া যত কম হবে, বিষ তত কম ছড়াবে।

এদিকে চিকিৎসক দেখার আগ পর্যন্ত কিছু খাওয়া উচিত না। সাপে কাটা জায়গায় শক্ত করে বাঁধা যাবে না, কারণ রক্ত জমে গিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তি পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন। যেখানে সাপ কেটেছে, তার কিছুটা ভেতরের দিকে খুব হালকা করে শুধু একটি গিঁট দিয়ে বেঁধে দেয়া যেতে পারে। বাঁধন এমনই হালকা হতে হবে যেন চাইলে ভেতরে আঙুল প্রবেশ করা যায়। কোন মলম বা মালিশ লাগানো উচিত না।

মেসেঞ্জার/আপেল