ঢাকা,  বুধবার
০৯ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবায় জোর দিলেন ড. হোসেন জিল্লুর

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ১৫:৪৬, ৭ অক্টোবর ২০২৪

আপডেট: ১৫:৫৫, ৭ অক্টোবর ২০২৪

সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবায় জোর দিলেন ড. হোসেন জিল্লুর

ছবি: সৌজন্য

অপরিকল্পিত ও দ্রুত নগরায়নে চ্যালেঞ্জ বাড়ছে গণমানুষের স্বাস্থসেবায়। তাই নগরের পরিবশে ঠিক রাখতে সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা জোরদারের তাগিদ দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং পিপিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

সোমবার (৭ আক্টোবর), রাজধানীর কাকরাইল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপিএইচই মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ তাগিদ দেন তিনি।

"নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি"র অগ্রগতি ও মতবিনিময় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “রোগ নিরাময় করে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। শুধু মহানগর নয়, সারাদেশেই রোগ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। এ কারণে সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোহিগ সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন ড. হোসেন জিল্লুর।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র ও বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এর সহায়তায় এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সেফটিনেট বাংলাদেশ। সেফটিনেট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবঃ) ডাঃ সৈয়দ হাসান আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান  এবং ইউ এস সিডিসি বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডাঃ নিলি। এর পাশাপাশি মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক, স্থানীয়্ সরকার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগীয় উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এবং দেশের খ্যাতনামা জনস্বাস্থ্যবিদরা।

১২টি সিটি কর্পোরেশনে জনস্বাস্থ্য সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করছে ২০২০ সালে চালু হওয়া "নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি"। এছাড়া, ১২টি সিটি কর্পোরেশনে জনস্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়ার প্রশংসাও করেন সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারেরে উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। 

উল্লেখ্য, ইউএসসিডিসি সেফটিনেট গত চার বছরে, কর্মসূচিটি শহুরে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী পদক্ষেপ নিয়েছে। এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতার মতো অসংক্রামক রোগ এবং ডেঙ্গু ও হেপাটাইটিস বি-এর মতো সংক্রামক রোগগুলোর উপর গুরুত্ব আরোপ করে জনস্বাস্থ্য প্রচারণা পরিচালনা করেছে। যা হাজার হাজার শহুরে বাসিন্দাদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এছাড়াও, কর্মসূচিটি Applied Epidemiology and Public Health Management Fellowship নামক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করেছে, যা সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের এবং চিকিৎসা পেশাজীবীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে, যাতে তারা জনস্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় আরও দক্ষ হয়ে উঠতে পারে।

এর পাশাপাশি, ছয়টি প্রধান সিটি কর্পোরেশনে একটি সংক্রামক রোগ নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে, যা শহরগুলোর রোগ সনাক্তকরণ ও প্রতিরোধের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে, যা দীর্ঘমেয়াদী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংহত করেছে। মতবিনিময় সভার অভিজ্ঞতাসমূহের প্রতি আলোকপাত ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ইতোমধ্যে অর্জিত অগ্রগতিসমূহকে ধরে রাখা যায়।

মেসেঞ্জার/ফামিমা