ঢাকা,  শনিবার
১৯ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

প্রক্রিয়াধীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের কাজ শেষ পর্যায়ে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ২০:০০, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

প্রক্রিয়াধীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের কাজ শেষ পর্যায়ে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর জোয়ারসাহারা বিআরটিসি বাস ডিপোর সামনে একটি বড় ১৮ চাকার হেভি লোডেড লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে ড্রিমার্স কনসালটেশন এন্ড রিসার্চ আয়োজিত 'দুইশততম মেডিকেল ক্যাম্প উদ্যাপন' শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের আগেই উচিত ছিল দরিদ্র মানুষকে হেলথ কার্ড প্রদান করা কিন্তু সেটা করা হয়নি। দেশের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়েও এখনো শেষ হয়নি। আমি এই পদে আসীন হওয়ার পরে আমাকে সময় দেওয়া হলো মাত্র দিন। আমি বললাম আমি এটা জানি না, আমাকে আগে জানতে হবে তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আজকে মাস পেরিয়েছে, আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটা ক্যাবিনেটে দিতে পারবো বলে আশাবাদী।

তিনি বলেন, সরকার একা সব কাজ করতে পারে না। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক সংগঠন ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারছি না। যে যেভাবে যোগ্য তাকে সেভাবেই অভিনন্দন জানানো উচিত। ভালো কাজের সম্মান দিলে এই জেনারেশন সেটা থেকে শিখবে। দেশের নানা প্রান্তে অনেক হিরো আছে যাদেরকে আমরা যথাযোগ্য সম্মান দিতে পারি না।

স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজানো উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, নানান সমস্যায় জর্জরিত ছিল এই মন্ত্রণালয়। আজকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করতে পারলে আমাদের হাসপাতালে আসতে হতো না। আমরা সেটা প্রতিরোধ করতে পারিনি। স্বাস্থ্য খাত এখন এমন পর্যায়ে এসেছে যে এখন সংস্কার প্রায় অসম্ভব। এটাকে ভেঙে পুনরায় ঢেলে সাজাতে হবে।

আন্দোলনের আহতদের চিকিৎসা সেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসা সহজ করতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। দেশের ডাক্তারদের পাশাপাশি আমরা ফ্রান্স, চীন থেকে ডাক্তার এনেছি। তারপর নেপাল থেকে চক্ষু চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করিয়েছি। তবুও অনেক রোগীর চোখ আমরা ভালো করতে পারিনি।

পা হারানোদের ব্যাপারে আমরা যুক্তরাজ্য, চীন ফ্রান্সের ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একজনকে আমরা ব্যাংককে পাঠিয়েছি, যার চিকিৎসা ব্যয় প্রায় কোটি টাকা। একজন সিএমএইচ আছেন, একজন বার্ন ইউনিটে আছেন যাকে অস্ট্রেলিয়া পাঠাতে কোটি টাকা খরচ হবে। এরকম অনেককে আমরা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে তাদের বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি।

মেসেঞ্জার/ফামিমা