ছবি : মেসেঞ্জার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পোষ্য কোটা বাতিল, ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানো ও চাকসু নির্বাচনসহ নয় দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের নয় দফা দাবির বাস্তবায়ন করতে হবে। কোটা বাতিলের আন্দোলনে জুলাই আগস্টে দেশব্যাপী একটা বিপ্লব হয়ে গেছে।
কিন্তু, সেই কোটা পদ্ধতি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এখনও রয়েছে। এমন কোটা অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক। এই ধরণের কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে, যেন শিক্ষার্থীরা তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে। প্রতিবছর ভর্তি ফি বাড়ানো হয়। এটা অন্যায্য। এমন হতে থাকলে অনেকেই আছে যারা পরীক্ষা দিতে পারবে না।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, পোষ্য কোটার মতো বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিতে হবে। এছাড়া, প্রতি বছর ভর্তি ফি বৃদ্ধির অন্যায্য সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এটি বহুমুখী বৈষম্য তৈরি করছে এবং অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, “আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। প্রয়োজনে অতীতের মতো আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবো।”
প্রশাসন থেকে জানা গেছে, পোষ্যকোটাসহ শিক্ষার্থীদের পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবি পর্যালোচনায় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা আগামীকাল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদারের সাথে বৈঠক করে যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক রাফি, সহ-সমন্বয়ক আব্দুর রহমান, আজাদ হোসেন (মার্কেটিং বিভাগ), বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীসহ (ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন) বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
মেসেঞ্জার/সাকিব/তারেক