ঢাকা,  রোববার
০৬ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ১ লাখ মানুষ

মেসেঞ্জার ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:০১, ৭ জুলাই ২০২৪

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ১ লাখ মানুষ

ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় চালানো ওই হামলায় ১ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন। হামলার শিকার ওই অঞ্চলটি রুশ সীমান্তের পাশেই অবস্থিত। শনিবার (৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়ার হামলার পর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলে ১ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। এদিকে হামলার পর বিদ্যুৎ পুনরায় চালুর জন্য কাজ চলছে বলে দেশটির জাতীয় গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনারগো বলেছে।

মূলত রুশ বিমান হামলার পর রাশিয়ার সীমান্তবর্তী সুমি শহর এবং ওই অঞ্চলের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া এই হামলায় কোনো হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

মূলত ইউক্রেনজুড়ে বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এসব হামলার কারণে প্রায়শই দেশটির মানুষ ব্যাপক ব্ল্যাকআউটে নিমজ্জিত হয়ে থাকেন। এর ফলে লোকেরা পানি, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ, বা জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সরঞ্জাম ছাড়াই গ্রীষ্মের তীব্র পরিস্থিতি সহ্য করতে বাধ্য হন।

শুধুমাত্র গত তিন মাসে রাশিয়ার হামলায় ৯ গিগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির জাতীয় বিদ্যুৎ সংস্থা ইউক্রেনারগো বলেছে, শত্রুদের এই কর্মকাণ্ডে ইউক্রেন তার সমস্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হারিয়েছে এবং ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সমস্ত পানিবিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অবশ্য রাশিয়ান হামলা মোকাবিলা করতে সহায়তা করার জন্য ইউক্রেনে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে পোল্যান্ড। কিন্তু ইউক্রেনেগো সারাদেশে সারা দিনই বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সময় নির্ধারণ করতে বাধ্য হয়েছে কারণ দেশীয় উৎপাদন এবং বিদ্যুৎ আমদানিও সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারেনি।

এদিকে ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গত ৫-৬ জুলাই রাতে রাশিয়ার উৎক্ষেপণ করা ২৭টি শাহেদ কামিকাজে ড্রোনের মধ্যে ২৪টি ভূপাতিত করেছে বলে এয়ার ফোর্স কমান্ড টেলিগ্রামে জানিয়েছে।

ইলেকট্রনিক জ্যামিং এবং অ্যান্টি-এয়ার ডিফেন্স ব্যবহার করে সুমি অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব ড্রোনগুলোকে আটকানো হয়েছিল বলেও জানিয়েছে তারা।

মেসেঞ্জার/দিশা

×
Nagad