ঢাকা,  রোববার
০৬ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফার ভোট আজ

মেসেঞ্জার ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ৭ জুলাই ২০২৪

ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফার ভোট আজ

ছবি : সংগৃহীত

ফ্রান্সের জাতীয় নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ রোববার (৭ জুলাই)। ধারণা করা হচ্ছে, এ দফায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। এতে ফ্রান্সের ক্ষমতায় যেতে পারেন কট্টর ডানপন্থিরা। এজন্য মাখোঁর জন্য দ্বিতীয় দফার ভোট এক অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত।  

বিবিসি জানায়, রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর বুথফেরত জরিপ পাওয়া যাবে।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম দফার ভোটে ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) পার্টি ২৯ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়। দলটি আগে ন্যাশনাল ফ্রান্ট নামে পরিচিত ছিল। দ্বিতীয় দফার ভোট সামনে রেখে তারা ফ্রান্সজুড়ে মিছিল করেছেন। গত বুধবার প্যারিসের বিখ্যাত প্লেস ডি লা রিপাবলিক থেকে মিছিল নিয়ে তারা শহরটিতে তাদের সদরদপ্তরে পৌঁছান। 

নির্বাচনের প্রথম পর্বে মাখোঁর রেনেসাঁ পার্টি মাত্র ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। বামপন্থি দলগুলোর জোট, যাকে বলা হয় নিউ পপুলার ফ্রন্ট, তারা ২৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। ওই জোটের উদ্দেশ্য মেরিন লে পেনের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী ও অভিবাসনবিরোধী আরএন পার্টির বিরুদ্ধে ভোটারদের একত্র করা। প্রথম রাউন্ডে ভোটারদের উপস্থিতি বেশি ছিল প্রায় ৬৮ শতাংশ, যা ২০২২ সালের সংসদ নির্বাচনের ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশের তুলনায় বেশি।

ফ্রান্সের ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপেই সবকিছু নিশ্চিত করে দেয় না। তথাপি আরএন অপেক্ষাকৃত বেশি আসন পেয়েছে, যা দলটিকে ক্ষমতায় আনার সম্ভাবনাকে প্রকট করেছে। এমনটা হলে ৮০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কট্টরপন্থি শাসন ফিরবে ফ্রান্সে।

ইউনিভার্সিটি টুলুস ক্যাপিটলের তুলনামূলক আইনের ফরাসি গবেষক রিম-সারাহ আলাউন আলজাজিরাকে বলেন, ‘আমরা কখনোই আর বিদেশ-আতঙ্ক, বর্ণবাদের ওপর অর্থায়নকারী ও নাৎসি সহযোগীদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে এমন গোষ্ঠীর ক্ষমতায় আসার এতটা সম্ভাবনা দেখিনি। এই দ্বিতীয় দফার ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি আগামী কয়েক বছরের জন্য এ দেশের দিকনির্দেশনা দেবে।’ 

আরএন পার্টি যদি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাহলে লে পেনের অনুসারী জর্ডান বারদেল্লা ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা বারদেল্লাকে ভোট দিচ্ছেন। তাদের অধিকাংশের বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। ব্রিটানির ফরাসি-হাঙ্গেরিয়ান ইংরেজি সাহিত্য ও অনুবাদের অধ্যাপক ড্যানিয়েল সাজাবো বলেন, মানুষ প্রার্থীকেও ভোট দিচ্ছে না। তারা বারদেল্লাকে প্রধানমন্ত্রী করতে ভোট দিচ্ছে।

মেসেঞ্জার/দিশা

×
Nagad