ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, এখন যুদ্ধবিরতি নিয়ে পূর্ণ মতৈক্যে পৌঁছানোর পুরো দায় ইসরায়েল ও হামাসের। ব্লিঙ্কেন দুই পক্ষকে অনুরোধ করেছেন, তারা যেন বাকি ১০ শতাংশ মতৈক্যে পৌঁছায় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে। খবর ডয়চে ভেলের।
তিনি জানিয়েছেন, ৯০ শতাংশ মতৈক্য হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হওয়া বাকি আছে। তার যুক্তি, এটা এখন ইসরায়েল ও হামাসের দায়িত্ব মতৈক্যে পৌঁছানো, লড়াই বন্ধ করা এবং বন্দিদের মুক্তি দেওয়া।
ব্লিঙ্কেন বলেন, যে বিষয়ের এখনো ফয়সালা হয়নি, তার মধ্যে আছে ফিলাডেলফি করিডোর, যা গাজা ভূখণ্ড ও মিশরের সীমান্তে পড়ে। তাছাড়া কীভাবে পণবন্দি ও ইসরাইলি জেলে বন্দিরা মুক্তি পাবেন, সেটা নিয়েও বিরোধ রয়েছে।
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে এই সংঘাতে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩-এর ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ঢুকে এক হাজার দুইশ মানুষকে হত্যা করে, ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্দি করে নিয়ে যায়। ইসরাইল প্রত্যাঘাত করে এবং গাজায় ৪০ হাজার ৮০০ মানুষ মারা গেছেন বলে হামাস জানিয়েছে।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক শুক্রবার ইসরায়েলে গেছেন। সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি ওয়েস্ট ব্যাংকেও যাওয়ার কথাও রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার বেয়ারবক তার মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেন। তিনি সৌদি আরবের রিয়াধে গেছেন।
ডিডাব্লিউর সাংবাদিক নিনা হ্যাসে কূটনৈতিক সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, বেয়ারবরক সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নিজেদের এলাকা বজায় রেখে ‘টু স্টেট’ সমাধানের উপরেই গুরুত্ব দিতে হবে।
এরপর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্ডন যান। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন, গাজায় মানবিক সাহায্যের জন্য জার্মানি বাড়তি পাঁচ কোটি ইউরো দেবে। তিনি জর্ডানকেও বাড়তি এক কোটি ২৭ লাখ ইউরো দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
