ছবি: সংগৃহীত
লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। বিমান হামলার পাশাপাশি তারা স্থলপথেও হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েলের হামলা থেকে বাদ যাচ্ছেন না দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরাও।
পৃথক হামলায় ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। এছাড়া লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের একটি ঘাঁটিতে ট্যাংক নিয়ে জোর করে প্রবেশও করেছে ইসরায়েলের সেনারা। এমন অবস্থায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে জাতিসংঘ।
সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, লেবাননের শান্তিরক্ষীদের ওপর যে কোনো হামলা যুদ্ধাপরাধ হতে পারে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে যে কোনো আক্রমণ “যুদ্ধাপরাধ হতে পারে” বলে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রোববার সতর্ক করে দিয়েছেন। দক্ষিণ লেবাননে শান্তিরক্ষা ঘাঁটির গেট দিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ট্যাংকগুলো জোর করে প্রবেশ করার পর গুতেরেসের মুখপাত্র একথা জানান।
লেবাননে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনাইটেড নেশনস ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবানন (ইউনিফিল)-এর ওপর সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েলি লঙ্ঘন এবং হামলার অভিযোগও রয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ইউনিফিল শান্তিরক্ষীরা দেশটিতে তাদের অবস্থানেই রয়ে গেছে এবং সেখানে জাতিসংঘের পতাকা উড়ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ইউনিফিল কর্মীদের ও এর প্রাঙ্গণগুলোকে কখনোই হামলার লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয় বলে মহাসচিব পুনর্ব্যক্ত করেছেন। শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনসহ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এটি যুদ্ধাপরাধ হতে পারে।”
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল ১৯৭৮ সালে আক্রমণের পর লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা তা তদারকি করতে ইউনিফিল গঠন করা হয়েছিল। ইউনিফিলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১০ হাজারের বেশি শান্তিরক্ষী রয়েছেন।
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর জাতিসংঘ তাদের মিশন সম্প্রসারিত করে এবং সীমান্ত বরাবর তৈরি করা ‘বাফার জোনে’ টহলদারি করতে শান্তিরক্ষীদের অনুমতি দেওয়া হয়।
ইসরায়েলের অভিযোগ, ২০০৬ সালের যুদ্ধ বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যে প্রস্তাব দিয়েছিল তা লঙ্ঘন করে সীমান্ত বরাবর সন্ত্রাসী অবকাঠামো নির্মাণ করছে হিজবুল্লাহ।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিষয়ক প্রধান জাঁ-পিয়ের লাক্রোয়া গত সপ্তাহে বলেন, লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা তাদের অবস্থানে নিয়োজিত থাকবে। মূলত হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরুর আগে ইসরায়েল কিছু এলাকা খালি করার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ইউনিফিল এই সিদ্ধান্ত নেয়।
মেসেঞ্জার/আজিজ