ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ থাইল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যার কারণে ৩০ হাজারের বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। ওই এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে পৌঁছেছে। দেশটির কর্মকর্তারা বুধবার একথা জানিয়েছেন। থাই সরকারের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, এলাকায় কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এলাকাটি ইতোমধ্যেই প্রবল বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে সেখানকার ১ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলে পাঁচটি প্রদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে। এগুলো হলো- পাত্তানি, নারাথিওয়াত, সোংখলা, নাখোন সি থামমারাত ও ফাথালুং। প্রদেশগুলোর ৩৩ সহস্রাধিক লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। মৃতের সংখ্যা মঙ্গলবারে ২৫ থেকে বেড়ে এখন ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। মুখপাত্র বলেন, বন্যা আক্রান্তদের সহায়তা ও সেবা প্রদানের জন্য জন্য মানসিক স্বাস্থ্য দল পাঠানো হয়েছে।
নারাথিওয়াত প্রদেশের তাক বাই জেলার এক নারী রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী থাই পিবিএসকে বলেছেন, তিনি তিন দিন ধরে বাড়িতে ফিরতে পারেননি। তার বাড়ি বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার পর তিনি স্থানীয় মন্দিরে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছেন।
থাই আবহাওয়া বিভাগ বুধবার সকালে সতর্ক করেছে যে, নিম্নচাপটি দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মালয়েশিয়া ও আন্দামান সাগর জুড়ে প্রবাহিত হওয়ায় দক্ষিণ থাইল্যান্ডে ভারী বৃষ্টিপাত ও আরও বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
খনিজ সম্পদ বিভাগও ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সম্ভাব্য ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার বিষয়ে সতর্ক করেছে। দুর্যোগ মোকাবিলা দলগুলি বন্যার পানি নিষ্কাশন ও বন্যা দুর্গতদের শুষ্ক এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছে।
সরকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সহায়তার জন্য উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করেছে এবং প্রতিটি প্রদেশের জন্য বন্যা ত্রাণে ৫০ মিলিয়ন বাহট বরাদ্দ করেছে। মঙ্গলবার থাই মন্ত্রিসভা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য পরিবার পিছু ৯,০০০ বাহট অর্থ প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।
বন্যা প্রতিবেশী মালয়েশিয়াকেও প্লাবিত করেছে। মালয়েশিয়ার হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। থাইল্যান্ডে ২০১১ সালে দেশজুড়ে ব্যাপক বন্যায় ৫ শতাধিক মানুষ মারা যায় ও লক্ষাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মেসেঞ্জার/জেআরটি