ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

পদত্যাগের পথে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী

মেসেঞ্জার ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পদত্যাগের পথে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ায় আকস্মিক সামরিক আইন জারি ও তা প্রত্যাহারের পর তীব্র রাজনৈতিক গোলযোগ চলছে। এরমধ্যেই দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ুং হুয়েন প্রেসিডেন্টের কাছে তাঁর পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন বলে দেশটির কিছু গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে। সামরিক আইন নিয়ে শুরু হওয়া রাজনৈতিক গোলযোগের দায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করতে চাইছেন বলে জানা গেছে।

কিম ইয়ুং প্রেসিডেন্টের সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর একটি বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে দ. কোরিয়ার বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, 'জরুরি সামরিক আইন জারির কারণে হওয়া সমস্ত গোলযোগের দায়িত্ব নিয়ে আমার পদত্যাগের অভিপ্রায় প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছি'।

এবিষয়ে তাঁর ভূমিকার জন্য ইতোমধ্যেই জনসম্মুখে ক্ষমাপ্রার্থনা-ও করেছেন এই মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারি করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট  ইউন সুক-ইওল। পরে মাঝরাতে পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশন ডেকে ভোটাভুটির মাধ্যমে এই ডিক্রি বাতিল করেন দেশটির বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতারা। প্রেসিডেন্ট পরে তা মেনে নিয়ে সেনাও প্রত্যাহারের নির্দেশও দেন। কিন্তু, এনিয়ে এখন তীব্র রাজনৈতিক বিবাদ দেখা দিয়েছে দেশটিতে। প্রেসিডেন্টের অভিশংসন ও তাঁর পদত্যাগের দাবিতে চলছে বিক্ষোভ।

বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির সাথে তীব্র রাজনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন। টেলিভিশনে সামরিক আইন জারির ভাষণ দেওয়া সময় ইউন দাবি করেন, মুক্ত ও সাংবিধানিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া তার আর কোনো উপায় ছিল না। ইউন বলেন, বিরোধী দলগুলো দেশকে সংকটে ফেলার জন্য সংসদীয় প্রক্রিয়াকে জিম্মি করে রেখেছে।

সামরিক আইন জারি বাতিল হওয়ার পর পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের প্রস্তাব আনছেন বিরোধী দলের এমপিরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবারেই এটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হবে, আর ভোটাভুটি হতে পারে শুক্র বা শনিবারের মধ্যে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সর্ববৃহৎ বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে দলটি এবং অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগের দাবি করছে। 

মেসেঞ্জার/জেআরটি